স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০২ মার্চ : আবার অশান্ত হয়ে উঠবে গাজ়া? ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেই প্রশ্নই উঠছে। ইজ়রায়েল ইতিমধ্যেই গাজ়ায় সকল প্রকার প্রয়োজনীয় পণ্য বা ত্রাণ পাঠানো স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সাহায্য সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা এবং মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। তার পর থেকেই যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত হিসাবে শুরু হয়েছে বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া। শুধু তা-ই নয়, মানবিকতার দিক থেকে সহায়তার কথাও বলা হয় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ইজ়রায়েল, হামাস একে অপরের বিরুদ্ধে বার বার চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছিল। হামাস এক বার হুঁশিয়ারি দিয়ে বন্দি মুক্তি বন্ধও করে দিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইজ়রালের হুমকির পর সুর নরম করে বন্দি মুক্তি দেয় হামাস।
ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শনিবারই শেষ হয়েছে। ইজ়রায়েল চেয়েছিল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির। সেই মতো হামাসকে শর্তও দিয়েছিল। কিন্তু হামাস তাতে রাজি নয়। তার পরই রবিবার বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার গাজ়ায় পণ্য সরবরাহ স্থগিতের কথা জানাল।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে এখনও কোনও পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়নি। ইজ়রায়েল চেয়েছিল প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে। সেই মতো হামাসকে তারা প্রস্তাবও দেয়। নেতানিয়াহুর কার্যালয় সূত্রে খবর, প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথম দিনেই অর্থাৎ রবিবার অর্ধেক ইজ়রায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলে পরে বাকিদের মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি হামাস। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত না মানার অভিযোগ তুলেছে হামাস। একই সঙ্গে, গাজ়ায় পণ্য সরবরাহ বন্ধের ইজ়রায়েলের সিদ্ধান্তকে ‘জুলুম’ বলে আক্রমণ করেছে তারা।