Wednesday, March 19, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদগাজায় ফের রক্তগঙ্গা বইবে? হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহু ?

গাজায় ফের রক্তগঙ্গা বইবে? হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহু ?

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১২ ফেব্রুয়ারি : গাজায় ফের রক্তগঙ্গা বইবে? ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর এবার যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দিলেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, শনিবার দুপুরের মধ্যে যদি পণবন্দিদের মুক্তি না দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহার করা হবে। এর জন্য দায়ী থাকবে হামাস। কেন যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি?
হামাসের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইজরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির বেশ কিছু শর্ত লঙ্ঘন করেছে। শান্তিচুক্তির পরেও নেতানিয়াহুর সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে নিরীহ প্যালেস্তিনীয়দের। আরও অভিযোগ, প্যালেস্তিনীয়দের উত্তর গাজায় ফিরতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকী গাজায় ত্রাণ সাহায্য পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া আপাতত বন্ধ রেখেছে হামাস। যা নিয়ে সোমবার কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে যদি সব বন্দি (ইজরায়েলি) ফিরে না আসেন, তবে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি বাতিল করা হবে। এমনকী হামাসের উদ্দেশে ট্রাম্প তোপ দাগেন, এবার নরক নেমে আসবে। মঙ্গলবার একই সুরে হামাসকে হুঁশিয়ারি দিলেন নেতানিয়াহু! কার্যত নতুন করে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, হামাস বন্দিদের মুক্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ইজরায়েলও কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার রাত থেকেই গাজা উপত্যকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় সেনা মোতায়েন শুরু হয়েছে।

এদিকে বুধবার নতুন করে গাজা দখল করার হুঁশিয়ার দিয়েছেন ট্রাম্প। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ”আমরা গাজার দখল নেব। আমাদের ওটা কিনতে হবে না। ওখানে কেনার মতো কিছুই নেই। আমরা গাজা নিয়ে নেব… নিতে চলেছি।” মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ জর্ডনের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই এমন ঘোষণা করলেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা। কিন্তু সেক্ষেত্রে গাজার অধিবাসীদের ভবিষ্যৎ কী হবে? এবিষয়ে আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রণক্লান্ত ওই অঞ্চল ‘সাফ’ করতে সেখানকার ২২ লক্ষ প্যালেস্তিনীয়কে মধ্যপ্রাচ্যের ওই ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মিশর, জর্ডনের মতো প্রতিবেশী দেশগুলিকে অনুরোধও করেন ট্রাম্প। বলা বাহুল্য, সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন বাঁক নিচ্ছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য