স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২২ জানুয়ারি: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-র সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করলেন সদ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, অতিমারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ‘হু’ সেভাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারেনি। দেখিয়েছেন আরও নানা কারণও।
এদিকে ‘হু’ থেকে আমেরিকা সরে দাঁড়ানোয় সংস্থাটি চাপে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন হু’র মোট বাজেটের এক-পঞ্চমাংশই এসেছে মার্কিন তহবিল থেকে। সেক্ষেত্রে আমেরিকা সরে গেলে বাজেটে ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা সমূহ।
কিন্তু ঠিক কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের? কেবল অতিমারী নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘসূত্রিতাই একমাত্র কারণ নয়। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, চিনের থেকে কম অর্থ নিয়ে আমেরিকার কাছ থেকে বেশি অর্থ নেওয়া হয়েছে। এই অতিরিক্ত অঙ্কের অর্থ অনুদান নেওয়ার অভিযোগও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার অন্যতম কারণ।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প রেকর্ডসংখ্যক এক্সিকিউটিভ অর্ডারে সই করেছেন ট্রাম্প। নিঃসন্দেহে অন্যতম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নাম সরানো। এছাড়াও জন্মগত নাগরিকত্বের অধিকার থেকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ তুলে দেওয়া কিংবা প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার মতো নানা বিষয় রয়েছে।
এছাড়াও মার্কিন জনতার দৈনন্দিন খরচ সংক্রান্ত ফাইলে সই করেছেন ট্রাম্প। আমজনতার দারিদ্র মেটাতে সরকারি দপ্তরগুলিকে উদ্যোগ নিতে বলেছেন তিনি। বাকস্বাধীনতা ফেরানো, সরকারি বিধিনিষেধ খানিকটা লঘু করা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারের ‘অস্ত্র তুলে নেওয়া’ বন্ধ, এমন বিষয়ক নির্দেশিকাতেও রিপাবলিকান নেতা সই করেছেন। এছাড়াও আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন ট্রাম্প। ক্যাপিটল হিংসায় অভিযুক্ত ১৫০০রও বেশি জনকে ক্ষমা করার আদেশ দিয়েছেন তিনি।