স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৯ ডিসেম্বরঃ বাংলাদেশের রাজনীতির আঙিনায় এখন ভারত বিরোধিতার প্রতিযোগিতা চলছে। এই আবহে সোমবার সীমান্ত ডিঙিয়ে আগরতলা অভিযানের ডাক দিল বিএনপি। এদিন খালেদা জিয়ার দলের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য অভিমুখে লং মার্চ হবে। রবিবারই ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে অভিযান করেছিল দলটি। এবার ত্রিপুরা ‘দখলে’র মতো হাস্যকর দাবি জানাল তারা।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং সন্ন্যাসী চিন্ময় গ্রেপ্তারির পর আগরতলায় বিক্ষোভ হয়। সেই সময় বাংলাদেশি উপদূতাবাসে হামলার অভিযোগ ওঠে। এইসঙ্গে বাংলা্দেশের পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে রবিবার ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে মিছিল করেছিল বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। ফের বুধবার ঢাকা থেকে ত্রিপুরা অভিমুখে লং মার্চের ডাক দিল তারা। আদৌ কি সীমান্ত ডিঙিয়ে আগরতলায় পৌঁছানো সম্ভব?
বিএনপি নেতা আবদুল মোনায়েম জানান, বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ ঢাকার নয়া পল্টন এলাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত করবে নেতা-কর্মীরা। এর পর সেখান থেকেই শুরু হবে পদযাত্রা। না, আগরতলা নয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে পদযাত্রা শেষ হবে। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
জাতীয়তাবাদী যুব দলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম বলেন, “ভারতীয় আগ্রাসন ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মিথ্যা তথ্যের প্রতিবাদে বুধবার ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত লং মার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। সকাল আটটায় নয়া পল্টনে জমায়েত হয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ লং মার্চ শুরু করব এবং আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত যাব।”
প্রসঙ্গত, রবিবার ঢাকার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে মিছিল করে বিএনপি। রামপুরার কাছে ব্যারিকেড করে পুলিশ যা থামিয়ে দেয়। ভারতীয় দূতাবাসে বিএনপির প্রতিনিধি দলের জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে আগরতলায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসে হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনাকে ভারতের আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এদিকে আজ সোমবার ভারত-বাংলাদেশ বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনুসের সঙ্গেও দেখা করবেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। মনে করা হচ্ছে এই বৈঠকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের জট ছাড়াতে পারে।