স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৯ ডিসেম্বরঃ হিংসার আবহেই ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশের দুই বিদেশ সচিব। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সরকারি অতিথি ভবন পদ্মায় মুখোমুখি হন ভারতের বিক্রম মিসরি ও বাংলাদেশের মহম্মদ জসীমউদ্দিন। সরকারি সূত্রে খবর, বৈঠকে সামগ্রিকভাবে দুদেশের পারস্পরিক একাধিক বিষয় উঠে এসেছে। তবে অন্যান্য সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিদেশ সচিবদের আলোচনার সিংহভাগই সাম্প্রতিক অশান্ত পরিস্থিতি। কথা হয়েছে ভিসা সমস্যা নিয়েও। এই বৈঠক সেরে বিক্রম মিসরি মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁর। এদিনই নয়াদিল্লি ফিরবেন বিদেশ সচিব।
আগস্টে প্রতিবেশী দেশে শাসন ক্ষমতা বদলেছে। হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি হয়েছে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে। তার পর থেকে সেখানে সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ ঘিরে তপ্ত পরিস্থিতি। সরকার বদলের এই আবহেই প্রথম ভারতের বিদেশসচিব ঢাকা গেলেন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে। সোমবার সকালেই ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজে ঢাকা পৌঁছন বিক্রম মিসরি।
এই বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয় আলোচনায় থাকছে। বিশেষ করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ-বিরোধী যে ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে, সে বিষয়টি ঢাকার পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হতে পারে। এছাড়া ভারতে বাংলাদেশ মিশনের নিরাপত্তা, সীমান্ত সংঘাত, অভিন্ন নদীর জলবণ্টন, নিত্যপণ্য আমদানি, ভিসা ইস্যু ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয় বলে ইঙ্গিত।
সোমবারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন অনেকটা প্রশমিত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আমরা (ঢাকা-নয়াদিল্লি) স্বাভাবিক সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আর এফওসি সেদিকে এগোনোর প্রথম পদক্ষেপ। এফওসির মধ্যে দিয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে বাস্তবসম্মতভাবেই এগিয়ে যেতে পারে।” সেই কাজ কতটা এগোল, তা সময়ই বলবে। এদিকে এই বৈঠক নিয়ে আশাপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভা অধিবেশনে তিনি বলেন, ”যিনি গিয়েছেন, তাঁর দৌত্য সফল হোক।”