স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৬ নভেম্বর: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের সাবেক অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর (৩৮) জামিন খারিজ করল বাংলাদেশের আদালত। ইসকনের সন্ন্যাসীকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকা অবমাননা মামলায় মঙ্গলবার সকালে তাঁকে চট্টগ্রামের নিম্ন আদালতে তোলা হয়। চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত তাঁর জামিন খারিজ করে। সোমবার সন্ন্যাসীর গ্রেপ্তারির পর মঙ্গলবার জামিন খারিজ হওয়ায় সনাতনীদের ‘কণ্ঠরোধে’ অভিযোগ উঠছে।
সোমবার বিকেলে চিন্ময় প্রভু ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আদালতে শুনানি শেষে জামিন খারিজ হয় এই হিন্দু সন্ন্যাসীর। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকর্তা জানান, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন খারিজ হয়েছে অভিযুক্তের। এদিন সকালে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে আনা হয় চিন্ময় প্রভুকে। এই সময় সনাতন ধর্মাবলাম্বীরা আদালতের বারান্দা থেকে ‘জয় শ্রীরাম’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। উল্লেখ্য, ইসকনের সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে গত ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের হয়েছিল। এই মামলায় অভিযুক্ত চিন্ময় প্রভু-সহ মোট ১৯ জন। ঠিক কী ঘটেছিল?
বন্দরনগর চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট মোড়ে জাতীয় পতাকার উপরে গেরুয়া ধ্বজা টাঙানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী ও ইসকন প্রবর্ত্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ দাশ ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে। এছাড়া অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে আরও ১৭ জন। ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি সকলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় রাষ্ট্রদোহ মামলা দায়ের করেন। সেই অভিযোগেই সোমবার গ্রেপ্তার করা হয় চিন্ময় প্রভুকে। ওই গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে সোমবার রাত থেকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু করেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আদালতে জামিন খারিজ হল বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভুর