স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৬ নভেম্বর: সোমবার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর পরেই প্রতিবাদে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের আন্দোলনে উত্তাল হল বাংলাদেশ। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘সম্মিলিত সনাতনী জোটে’র নেতার গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেন হাজার হাজার মানুষ। অবিলম্বে চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানান তাঁরা। এইসঙ্গে হাসিনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিচারের দাবি জানান হিন্দুরা। বিক্ষোভে পুলিশের সংঙ্গে সংঘাতে অনেকে আহত হয়েছেন বলে খবর।
ঢাকার শাহবাগ চত্বরে হাজার হাজার হিন্দু জড়ো হন। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। চিন্ময় প্রভুর অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। ঢাকা ট্রিবিউনের দাবি, বাংলাদেশ ইসকন চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিতে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানীতে বিক্ষোভে ৭ জন আহত হয়েছেন। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামেও পথে নেমেছেন সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। সেখানে মোবাইল জ্বালিয়ে প্রতীকী মশাল মিছিল করে জনতা। দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকেও বিক্ষোভ মিছিলের খবর আসছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে মুসলিম কট্টরপন্থীরা চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। দাবি করেছিল নিষিদ্ধ করা হোক ইসকনকে। না হলে ধরে ধরে হত্যা করা হবে ইসকন ভক্তদের! সোশাল মিডিয়ায় এই হুমকির কথা জানিয়ে ভারত ও আমেরিকার হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন ইসকনের এক সদস্য। তারও আগে গত ৫ নভেম্বর ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন চট্টগ্রামের এক মুসলিম ব্যবসায়ী। ইসকনকে ‘জঙ্গি সংগঠন’-এর তকমা দেন তিনি। যার পরই স্থানীয় হিন্দুদের বিক্ষোভে কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নেয় চট্টগ্রাম। বাড়িতে ঢুকে হিন্দুদের মারধর ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশ সেনা ও পুলিশের বিরুদ্ধে। এর পর ওঠে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি। এই আবহে সোমবার চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়েছে বাংলাদেশজুড়ে। প্রভুর গ্রেপ্তারিতে কার্যতে বারুদের স্তূপে আগুন পড়েছে!