স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২০ নভেম্বর: যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ প্রশাসনে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া ম্যাট গেটজের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছেন দুই নারী। প্রমাণ হিসেবে প্রতিনিধি পরিষদের নৈতিকতাবিষয়ক কমিটির তদন্তকারীদের কাছে বেশ কিছু ছবি জমা দিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে ২০১৯ সালে নিউইয়র্কে ম্যাটের সঙ্গে তাঁদের আলোচিত একটি ভ্রমণের ছবিও আছে।গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের আউটফ্রন্ট নামের সংবাদভিত্তিক এক অনুষ্ঠানে এরিন বারনেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন দুই নারীর আইনজীবী জোয়েল লেপার্ড।
জোয়েল লেপার্ড বলেন, ওই দুই নারী বলেছেন, নিউইয়র্ক ভ্রমণের সময় ম্যাট গেটজ অর্থের বিনিময়ে তাঁদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। সে সময় ফক্স নিউজ স্টুডিওতেও ম্যাটের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের শুটিংয়ে অংশ নিতে গিয়েছিলেন ম্যাট।লেপার্ডের মতে, ওই দুই নারীকে নিজেদের সেলফি তুলে পাঠাতে বলেছিলেন ম্যাট গেটজ। সেসব সেলফিও প্রতিনিধি পরিষদের নৈতিকতাবিষয়ক কমিটির কাছে জমা দিয়েছেন অভিযোগকারীরা। তাঁরা আরও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে কখনো কখনো গেটজের অনুরোধে নিজেদের নগ্ন ছবিও পাঠিয়েছেন ওই দুই নারী।
প্রতিনিধি পরিষদের তদন্তকারীরা দুই নারীর কাছে তাঁদের অভিযোগের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ চাইলে তাঁরা অর্থ পরিশোধের কিছু নথি দেখান। এসব অর্থ ম্যাট গেটজই দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, যার বেশির ভাগ পাঠানো হয়েছে ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে। লেপার্ড বলেন, নথিতে দেখা গেছে, এক নারীকে ছয় হাজার ডলারের বেশি পরিশোধ করেছেন ম্যাট গেটজ। আর অন্যজনকে দিয়েছেন চার হাজার ডলারের বেশি।লেপার্ড বলেন, ‘আমি আপনাকে যা বলছি, তা শুধু প্রতিনিধি পরিষদের কাছে থাকা হাজারো নথির মধ্যে একটি অংশমাত্র।’
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিতে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান নেতা গেটজকে বেছে নিয়েছেন। ট্রাম্পের ঘোষণার পর গত সপ্তাহে গেটজ কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গেটজের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়েছিল নৈতিকতাবিষয়ক কমিটি। তবে ট্রাম্প তাঁকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে বেছে নেওয়ায় কার্যত সে তদন্তের সমাপ্তি ঘটেছে।অভিযোগের বিষয়ে ম্যাট গেটজের মন্তব্য জানতে চায় সিএনএন। জবাবে তিনি কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেন।