স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২০ নভেম্বর: বিস্তৃত প্রচলিত আক্রমণের জবাব হিসেবে একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলার বিধিনিষেধের সীমা আরও হ্রাস করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর মস্কো বলেছে, ইউক্রেইন মার্কিন এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার গভীরে আঘাত হেনেছে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইউক্রেইনকে দীর্ঘপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার অনেক ভেতরে আঘাত হানার অনুমতি দিয়েছে, রোববার দুই মার্কিন কর্মকর্তা ও এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জ্ঞাত একটি সূত্র রয়টার্সকে তথ্যটি জানায়। এর দুই দিন পরই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতি পাল্টানোর বিষয়টি অনুমোদন করলেন পুতিন।
ওয়াশিংটন যদি ইউক্রেইনকে মার্কিন, ব্রিটিশ ও ফ্রান্সের দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার অনেক ভেতরে ছোড়ার অনুমতি দেয় তাহলে নেটো সামরিক জোটের এই সদস্য দেশগুলো সরাসরি ইউক্রেইন যুদ্ধে যুক্ত হয়ে পড়েছে বলে মস্কো বিবেচনা করবে, এমনটি বলে কয়েক মাস ধরেই পশ্চিমকে সতর্ক করে আসছিল রাশিয়া।রাশিয়ার নতুন পারমাণবিক নীতির অধীনে কোনো পরিস্থিতিতে পুতিন বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার থেকে আঘাত হানার নির্দেশ দিতে পারবেন তার জন্য একটি নীতিকাঠামো ঠিক করা হয়েছে, মঙ্গলবার তিনি এটি অনুমোদন করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তন করা হয়েছে তা হচ্ছে রাশিয়া বা তার মিত্র বেলারুশে প্রচলতি কোনো আক্রমণ যা ‘তাদের সার্বভৌমত্ব বা ভূখণ্ডগত অখন্ডতার প্রতি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করবে’ তার প্রতিক্রিয়ায় মস্কো পারমাণবিক আঘাত হানার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারবে।তাদের নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, পারমাণবিক শক্তিধর কারও সমর্থনে পারমাণবিক শক্তিহীন একটি রাষ্ট্র যদি কোনো হামলা চালায় তাহলে তা যৌথ হামলা হিসেবে বিবেচনা করা যাবে। আর একটি সামরিক জোটের এক সদস্য যদি কোনো হামলা চালায় তাহলে তা পুরো জোটের হামলা বলে গণ্য করা হবে।
এর আগের পরমাণবিক নীতির সঙ্গে ২০২০ সালে একটি ডিক্রি জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, যদি কোনো শত্রু পারমাণবিক হামলা চালায় বা প্রচলিত এমন আক্রমণ চালায় যা রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য হুমকি তৈরি করেছে সেক্ষেত্রে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে।যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বলেছে, মার্কিন পারমাণবিক নীতি সমন্বয় করার মতো কোনো কারণ তারা দেখছে না।রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একত্রে বিশ্বের ৮৮ শতাংশ পারমাণবিক বোমার নিয়ন্ত্রক। আর পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী।