Thursday, November 21, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদগত পাঁচ দশকে প্রথমবার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে ভিড়েছে পাকিস্তানের জাহাজ । কিন্তু...

গত পাঁচ দশকে প্রথমবার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে ভিড়েছে পাকিস্তানের জাহাজ । কিন্তু কেন?

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৯ নভেম্বর:  পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে চলেছে ‘নতুন’ বাংলাদেশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের পড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই গত পাঁচ দশকে প্রথমবার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে ভিড়েছে পাকিস্তানের জাহাজ। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারত। কিন্তু কেন?

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি পণ্য পরিবহণ শুরু হওয়াকে ঐতিহাসিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আর এতেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে নয়াদিল্লি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার বাংলাদেশকে হাতিয়ার করে ভারতকে অশান্ত করতে পারে পাকিস্তান। কাশ্মীরের মাটিতে যেভাবে জঙ্গিদের ব্যবহার করা হচ্ছে সেই একই ছকে ভারতের পূর্বাঞ্চলে ছড়ানো হতে পারে অশান্তির আগুন। বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় এবার বাংলাদেশে সরাসরি অস্ত্র পাঠাতে পারে আইএসআই। তাছাড়া মাদক পাচারের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রের কথা মাথায় রাখলে মানতেই হবে ঢাকা-ইসলামাবাদের মধ্যে যোগসূত্র ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।

যদিও মহম্মদ ইউনুস দাবি করেছেন, ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক ‘অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ’ই থাকবে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, ”দুই দেশের মধ্যেই সম্পর্ক অবশ্যই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এর কোনও বিকল্প নেই। ওরাও তাই চায়। আমরাও তাই চাই। অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা কিংবা জল- সব দিক থেকেই এটা জরুরি।”

অতীতে শেখ হাসিনার সঙ্গে সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ভারত চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের গতিবিধির দিকে নজর রেখেছিল। ২০০৪ সালে এখানেই দেড় হাজার বাক্স চিনা গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। বলা হয়েছে, এর পিছনে ছিল আইএসআইয়ের হাত। আর এই বিপুল গোলাবারুদ পাঠানো হচ্ছিল অসমের জঙ্গি গোষ্ঠী উলফার (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম) জন্য। সেযাত্রা পুরো পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এমন নজরদারি চালানো কঠিন। ফলে আশঙ্কার মেঘ ক্রমেই জমছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য