Wednesday, November 13, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদএলিস স্টেফানিককে ‘জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত হওয়ার প্রস্তাব’ ট্রাম্পের

এলিস স্টেফানিককে ‘জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত হওয়ার প্রস্তাব’ ট্রাম্পের

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ নভেম্বর:   যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কংগ্রেসের রিপাবলিকান প্রতিনিধি এলিস স্টেফানিককে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে খবর হয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’টি সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার সিএনএন এ খবর দিয়েছে।এর আগে রয়টার্স জানিয়েছিল, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র স্টেফানিককে এই পদের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে।ট্রাম্প-(জেডি) ভ্যান্স টিমের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট সিএনএন-এর প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত বা অস্বীকার করেননি।এক ইমেইল বিবৃতিতে তিনি বলেন, “নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার দ্বিতীয় (মেয়াদের) প্রশাসনে কে কোন দায়িত্ব পালন করবেন সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করবেন। এই সিদ্ধান্তগুলো যখন চূড়ান্ত হবে তখন ঘোষণা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।”

শনিবার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ট্রুথ সোশ্যাল) দেওয়া পোস্টে জানান, তিনি তার এবারের প্রশাসনে যোগ দেওয়ার জন্য রিপাবলিকান দলীয় সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিকি হ্যালি ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে আমন্ত্রণ জানাবেন না। তবে অতীতে তাদের সঙ্গে কাজ ট্রাম্প খুবই উপভোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন এবং তাদের দেশ সেবার প্রশংসা করেছেন।ট্রাম্পের আগের মেয়াদে নিকি হ্যালি সালে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত (২০১৭ – ২০১৮) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সাউথ ক্যারোলিনার সাবেক গভর্নর। পরে এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে (প্রাইমারি) ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন হ্যালি।নির্বাচনি প্রচারে ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছিলেল তিনি। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনসমর্থন না পেয়ে তিনি সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন এবং পরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকেই সমর্থন দেন।

বর্তমানে ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন গঠনের কাজ চলছে। ২০ জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ট্রাম্প তার প্রশাসনে যাদের নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রশাসনে কে কে স্থান পেতে পারেন সে জল্পনার মধ্যে হ্যালি ও পম্পেওর নামও এসেছিল। কিন্তু ট্রাম্প স্পষ্টই জানিয়ে দেন, এই দুইজন তার প্রশাসনে স্থান পাচ্ছেন না।মাইক পম্পেও ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পের প্রশাসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। এর আগে সিআইএ-র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে তিনি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নেন।শুক্রবার রয়টার্স জানিয়েছে, বিশিষ্ট বিনিয়োগকারী স্কট বেসেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ট্রাম্প। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী পদের জন্য সম্ভাব্য মনোনীতদের একজন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য