স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৭ অক্টোবর: ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিকে ‘ভালোবাসার দিন’ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।গতকাল বুধবার স্প্যানিশ ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল ইউনিভিশন আয়োজিত এক টাউন হল অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এ কথা বলেন।২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হন। পরাজিত হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু তিনি দাবি করেন, জালিয়াতির মাধ্যমে তাঁর জয় কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের এই মিথ্যা দাবির পর তাঁর উগ্র সমর্থকেরা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে (মার্কিন কংগ্রেস) হামলা চালান। কংগ্রেসে বাইডেনের বিজয় সত্যায়ন ঠেকানোই ছিল এই হামলার উদ্দেশ্য।
ট্রাম্প গতকালের অনুষ্ঠানে বলেন, তিনি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত মানুষ রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছিলেন।হামলার আগে হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বক্তৃতায় ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের মিছিল নিয়ে ক্যাপিটল হিলের দিকে যেতে বলেছিলেন। তিনি টিভিতে হামলার দৃশ্য দেখেছিলেন। পরে তিনি তাঁর সমর্থকদের ঘটনাস্থল থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিলেন।২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, সমর্থকেরা তাঁর কারণে আসেননি। তাঁরা নির্বাচনের কারণে এসেছিলেন। তাঁদের মনে হয়েছিল, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। সে কারণেই তাঁরা এসেছিলেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, কোনো ভুল করা হয়নি। ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। শক্ত ব্যবস্থা।ট্রাম্প দাবি করেন, সেদিন সেখানে তাঁর সমর্থকেরা কাউকে গুলি করেননি। তাঁর সমর্থকদের কাছে বন্দুক ছিল না। কিন্তু অন্যদের কাছে বন্দুক ছিল।ট্রাম্প তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে বাইডেনের বিজয়ের সত্যায়ন আটকে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু পেন্স তা করতে অস্বীকৃতি জানান। তার পর থেকে পেন্সকে বিভিন্ন সময় আক্রমণ করে কথা বলছেন ট্রাম্প।গতকাল ট্রাম্প বলেন, পেন্স যা করেছেন, সেটার সঙ্গে তাঁর দ্বিমত আছে। তিনি যা করেছেন, সেটার সঙ্গে তিনি পুরোপুরি দ্বিমত পোষণ করেন।২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয় এখনো মেনে নেননি ট্রাম্প। আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন ট্রাম্প ও তাঁর প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেটিক পার্টির কমলা হ্যারিস।