স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৫ অক্টোবর: লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে মোতায়েন জাতিসংঘের ইউনিফিল শান্তিরক্ষীদের ‘বেহুদা’ বাহিনী আখ্যা দিয়ে তাদের নিন্দা করেছেন ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন।ইউনিফিল শান্তিরক্ষীরা ইসরায়েলিদের হিজবুল্লাহর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করে এই বাহিনীর প্রত্যাহার চেয়েছেন তিনি।সোমবার সামাজিক মাধ্যম এক্স এ তিনি লিখেছেন, “নিজের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্র সবকিছু করবে। আর যদি জাতিসংঘ সাহায্য করতে না পারে, অন্তত তাদের হস্তক্ষেপ করা উচিত না এবং যুদ্ধ অঞ্চল থেকে তাদের সেনাদের সরিয়ে নিক।”
দক্ষিণ লেবাননে থাকা শান্তিরক্ষীদের নিয়ে কয়েকদিন ধরে জাতিসংঘ ও ইসরায়েলের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ বিনিময় চলছে। দক্ষিণ লেবানন থেকে ইরানের সমর্থনপুষ্ট হিজবুল্লাহ ও তাদের কথিত সামরিক অবকাঠামোগুলো নিশ্চিহ্ন করেতে ইসরায়েল সেখানে স্থল অভিযান চালানো শুরু করার পর থেকে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।রোববার জাতিসংঘ জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে তাদের ঘাঁটির গেট ভেঙে ইসরায়েলি ট্যাংক ভেতরে ঢুকে পড়ে। এটি ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ওই অঞ্চলে সীমা লঙ্ঘনের সর্বশেষ অভিযোগ। হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মিত্ররাও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। ি
এই নিয়ে ইসরায়েল জাতিসংঘের সঙ্গে বিতর্কে জড়াচ্ছে। আর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ওই অঞ্চল থেকে শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের মধ্যে এই শান্তিরক্ষীরা হিজবুল্লাহর জন্য ‘মানবঢাল’ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।এক বিবৃতিতে ইউনিফিল শান্তিরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, রোববার ভোরে দু’টি ইসরায়েলি মারকাভা ট্যাংক তাদের একটি ঘাঁটির মূল ফটক ভেঙে জোর করে ভেতরে প্রবেশ করেছে। ট্যাংকগুলো চলে যাওয়ার পর ঘাঁটির ১০০ মিটার দূরে গোলা বিস্ফোরিত হয় আর সেগুলো থেকে বের হওয়া ধোঁয়ায় ঘাঁটিটি ছেয়ে যায়, এতে জাতিসংঘ সেনারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।সুরক্ষার জন্য তারা শান্তিরক্ষীদের ঘাঁটির কাছাকাছি এলাকাগুলো ব্যবহার করছে, এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে হিজবুল্লাহ।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী রোববার বিদেশি সাংবাদিকদের দক্ষিণ লেবাননে নিয়ে গিয়ে হিজবুল্লাহর একটি টানেল শ্যাফ্ট দেখায়, সেটির অবস্থান ইউনিফিলের অবস্থানের ২০০ মিটারের মধ্যে ছিল। সেখানে হিজবুল্লাহর লুকিয়ে রাখা অস্ত্রশস্ত্রও ছিল যেগুলো ইসরায়েরি সেনারা খুঁজে পেয়েছে।ইসরায়েলি বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতাচ নরকিন জানান, টানেলগুলো কয়েক বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে।জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ পোস্টের কাছাকাছি ঝোপঝাড়ে ঢাকা একটি স্থানে ওই ট্যানেল শ্যাফ্টের সিঁড়ি দরজার দিকে দেখিয়ে নরকিন বলেন, “আমরা আসলে হিজবুল্লাহর একটি সামরিক ঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে আছি যেটি জাতিসংঘের (ঘাঁটির) খুব কাছে।”