স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২ অক্টোবর: ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবের জাফা এলাকায় বন্দুক ও ছুরি হামলার এক ঘটনায় দুই হামলাকারীসহ নয়জন নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার এ ঘটনায় আরও অন্তত আটজন আহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে।এ ঘটনাকে কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলে ঘটা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ‘সন্ত্রাসী’ হামলা বলে বর্ণনা করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনের কাছে রাইফেল ও অপরজনের কাছে ছুরি ছিল বলে জানা গেছে। তারা তেল আবিব লাইট ট্রেনে বেসামরিকদের ওপর আক্রমণ করে, তারপর ট্রেন থেকে নেমে হাঁটতে হাঁটতে নগরীর জেরুজালেম স্ট্রিটে বিভিন্ন লোকজনের ওপর গুলি ছোড়ে ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে।এরই এক পর্যায়ে নগর কর্তৃপক্ষের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও বেসামরিক ইসরায়েলিরা তাদের গুলি করে হত্যা করে, জানিয়েছে পুলিশ।দুই হামলাকারীকে মোহাম্মদ খালাফ সাহের রজব ও হাসান মোহম্মদ হাসান তামিমি বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের উভয়েই ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের হেবরন শহরের বাসিন্দা ছিলেন।আহতদের তেল আবিবের দু’টি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলে হওয়া অন্যতম প্রাণঘাতী একক হামলা। শেষ খবর পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলজুড়ে ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অল্প কিছুক্ষণ আগে ঘটনাটি ঘটে। গাজা যুদ্ধের এক বছর পূর্তির আগে লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনী স্থল আক্রমণ শুরুর এ সময়টিতে পুরো অঞ্চলজুড়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থল আক্রমণ শুরু আগে বৈরুতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে ইসরায়েল লেবাননের প্রভাবশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহসহ এর নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে।
ইসরায়েলের পুলিশ কমিশনার দানিয়েল লেভি তেল আবিবের হামলাস্থল পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ হামলার বিষয়ে পুলিশের কাছে আগাম কোনো গোয়েন্দা তথ্য ছিল না।এক প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াইনেট নিউজকে বলেছেন, “আমরা ধারাবাহিক গুলির শব্দ শুনছিলাম। শঙ্কা নিয়ে আমরা বাইরে এসে দেখি, দুই ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে দৌঁড়ে যাচ্ছে, তারাই হামলা চালাচ্ছিল। এটা তাকিয়ে দেখা খুব কষ্টের ছিল।”এই হামলার পর ইসরায়েলের কট্টরপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালের স্মোট্রিচ সামাজিক মাধ্যম এক্স এ লিখেছেন, তিনি ওই দুই হামলাকারীর পরিবারকে ‘গাজায় নির্বাসনে পাঠাতে’ ও হেবরনে তাদের বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।