স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৪ আগস্ট: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স এতদিন আফগানিস্তানের ওপর দিয়ে ফ্লাইট চলাচল এড়িয়ে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়তে থাকায় এবার অপেক্ষাকৃত নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে সেই আফগানিস্তানই।সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স-সহ ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এবং জার্মানির লুফথানসাও এখন আফগানিস্তানের ওপর দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে ফ্লাইট চলাচলের জন্য আফগানিস্তান প্রধান রুট হলেও বিশ্বের দেশগুলোর এয়ারলাইন্স মূলত এই পথে যাতায়াত বন্ধ করেছিল তিন বছর আগে। ওই সময় তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতা দখলের পর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ওই সেবা এখনও চালু হয়নি। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স ফ্লাইট চলাচলের জন্য ইরান এবং ইসরায়েলের আকাশসীমাকে আফগানিস্তানের আকাশসীমার চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে।রাশিয়া ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পর অনেক পশ্চিমা দেশই রুশ আকাশসীমা দিয়ে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে বিকল্প হিসাবে ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর আকাশসীমাকে রুট হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছিল।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সংগঠনের ফ্লাইটরাডার২৪ এর এক মুখপাত্র আয়ান পেচেনিক বলেছেন, “সংঘর্ষের আবর্তে কোন দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করা হবে সে হিসাব-নিকাশ বদলে গেছে। এয়ারলাইন্সগুলো চলাচলের পথে ঝুঁকি যতটা সম্ভব কম রাখতে চাইছে। ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়াটা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বিকল্প পথ।”এয়ারলাইন্সগুলো দিন দিনই আফগানিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে উড়োজাহাজ চলাচল বাড়িয়ে দিচ্ছে। অথচ ওই পথে নেই কোনও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। তাছাড়া, আফগানিস্তানের আকাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও উড়োজাহাজের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য অস্ত্র হামলারও শিকার হওয়ার আশঙ্কা আছে।
এই ঝুঁকি থাকারও পর আফগানিস্তানের আকাশ দিয়ে এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট চলাচল শুরু হয় এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে। ওই সময় ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চলছিল।ওই সময়কার ফ্লাইট ট্র্যাকিং তথ্য থেকে দেখা যায়, লুফথানসা, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও অন্য আরও এয়ারলাইন্স দিনে কিছু কিছু করে ফ্লাইট আফগানিস্তানের ওপর দিয়ে পরিচালনা করতে শুরু করেছে।