Monday, February 10, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদফের সংগঠিত হচ্ছে রুশ বাহিনী, কিইভে আক্রমণ ‘কয়েকদিনের মধ্যেই’

ফের সংগঠিত হচ্ছে রুশ বাহিনী, কিইভে আক্রমণ ‘কয়েকদিনের মধ্যেই’

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ মার্চ।  ইউক্রেইনে হামলা শুরুর পর মস্কো বিদ্যুৎগতিতে দেশটির রাজধানীতে হানা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে অনুমান পশ্চিমা দেশগুলোর; কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় রাশিয়ার মূল আক্রমণকারী বাহিনী কিইভের উত্তরের এক মহাসড়কে প্রায় স্থবির হয়েই বসে ছিল।

তবে বেসরকারি মার্কিন উপগ্রহ কোম্পানি মাক্সারের সাম্প্রতিক ছবি বলছে, রুশ সাঁজোয়া যানের ইউনিটগুলো এখন কিইভের উত্তরপশ্চিমের হস্তমেলে অবস্থিত আন্তোনভ বিমানবন্দরের কাছের এলাকাগুলোতে ঢুকে পড়েছে ও চলাচল করছে। যুদ্ধের প্রথম কয়েক ঘণ্টায় রাশিয়া ছত্রীসেনা নামানোর পর থেকে ওই এলাকাগুলোতে তুমুল লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছিল।এর ঠিক উত্তরে লুবিয়াঙ্কার কাছে ছোট ছোট এলাকায়ও বেশ কিছু সামরিক উপকরণ মোতায়েন রয়েছে, ছোট বড় কামানগুলোকে প্রস্তুত অবস্থায় অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, জানিয়েছে মাক্সার।“রাশিয়া সম্ভবত আগামী দিনে নতুন করে আক্রমণ চালাতে তার বাহিনীকে পুনরায় সংগঠিত করছে। এসব আক্রমণের মধ্যে রাজধানী কিইভে অভিযানও আছে,” গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

তাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, রসদ ঘাটতি সংক্রান্ত সমস্যা ও ইউক্রেইনীয়দের তীব্র প্রতিরোধের মুখে রাশিয়ার স্থলবাহিনীর অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ধারণার তুলনায় সামান্যই।

ইউক্রেইনের জেনারেল স্টাফও বলছে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর রাশিয়ার বাহিনী ফের সংগঠিত হচ্ছে।এদিকে টানা সপ্তম দিনের মতো রাশিয়া অবরুদ্ধ বন্দরনগরী মারিওপোল থেকে বেসামরিকদের বের হওয়ার সুযোগ দিতে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছে।শহরটি থেকে সাধারণ মানুষকে বাইরে সরিয়ে নিতে আরেকবার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেইনও।

“আমাদের আশা, এই অস্ত্রবিরতি কাজ করবে আজ,” বলেছেন ইউক্রেইনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক।এর আগে মারিওপোল থেকে বেসামরিক সরাতে যত উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে সবই ব্যর্থ হয়েছে; এজন্য দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে।শহরটি ছাড়তে না পারা বেসামরিকরা এখন রুশ গোলাবর্ষণ ছাড়াও খাবার ও পানির তীব্র সংকটেও ভুগছে।ওয়াশিংটন বলছে, রাশিয়া মারিওপোলে বেসামরিকদের লক্ষ্য করে যে হামলা চালাচ্ছে তা যুদ্ধাপরাধ। তবে মস্কো এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছে, তার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বেসামরিকদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হচ্ছে না।রাশিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে ইউক্রেইনকে ‘নাৎসিমুক্ত করা’ এবং তা পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলছে, ভাষ্য তাদের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য