Thursday, December 26, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদসাহিত্যে নোবেলজয়ী কানাডার এলিস মুনরোর মৃত্যু

সাহিত্যে নোবেলজয়ী কানাডার এলিস মুনরোর মৃত্যু

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৫ মে: সাহিত্যে ২০১৩ সালে নোবেল পুরস্কারজয়ী কানাডার ছোটগল্প লেখিকা এলিস মুনরো সোমবার ৯২ বছর বয়সে মারা গেছেন। দ্য গ্লোব ও মেইল পত্রিকা মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে।পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য গ্লোব জানায়, মুনরো অন্তত এক দশক ধরে ডিমেনশিয়ায় ভুগছিলেন।মুনরোর লেখা এক ডজনেরও বেশি ছোট গল্প প্রকাশিত হয়েছে। সুইডিশ নোবেল একাডেমি ২০১৩ সালে তাকে পুরষ্কারে ভুষিত করার সময় ‘সমকালীন ছোটগল্পের মাস্টার’ অভিহিত করে বলেছিল, তার সুন্দর করে গুছিয়ে বলা গল্পের বিষয়বস্তু সুস্পষ্ট এবং বাস্তববাদী।মুনরোকে অনেকেই রাশিয়ার খ্যাতনামা ছোটগল্প লেখক এন্টন চেখভের সঙ্গে তুলনা করে কানাডার চেখভ বলে থাকেন।

মুনরোর প্রকাশিত ছোটগল্পের সংকলনের মধ্যে আছে- ড্যান্স অব দ্য হ্যাপি শেডস (১৯৬৮), লাইভস অব গার্লস অ্যান্ড উইম্যান-(১৯৭১), হু ডু ইউ থিঙ্ক ইউ আর?-(১৯৭৮), দ্য মুনস অব জুপিটার-(১৯৮২), হেটশিপ ফ্রেন্সশিপ কোর্টশিপ লাভশিপ ম্যারিজ-(২০০১), রানঅ্যাওয়ে-(২০০৪), দ্য ভিউ ফ্রম ক্যাসেল রক-(২০০৬), টু মাচ হ্যাপিনেস-(২০০৯), ডিয়ার লাইফ-(২০১২)।মুনরো কানাডার সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কারও পেয়েছিলেন। আর সাহিত্যে নোবেলের পর সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ম্যান বুকার পুরস্কার পান ২০০৯ সালে।মুনরোর বেশির ভাগ গল্পে উঠে এসেছে কানাডার গ্রামাঞ্চলের পরিবেশ। নিজের চারপাশের গণ্ডির বাইরের বিষয় নিয়ে তার লেখালেখি কম।তার প্রায় সব গল্পের উপজীব্য ছোট কোনও শহরের প্রেক্ষাপট। যাতে উঠে এসেছে সম্পর্ক ও নৈতিকতার টানাপোড়েন- এক প্রজন্মের সঙ্গে আরেক প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য ও জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষার দ্বন্দ্ব থেকে যার সৃষ্টি।

কানাডার অন্টারিও প্রদেশের উইংহ্যাম এলাকায় জন্ম নেওয়া মুনরো বেড়ে উঠেছেন সেখানকার গ্রাম্য ও শান্ত পরিবেশে। ছোট বয়সেই মুনরো স্থির করে ফেলেছিলেন যে, বড় হয়ে লেখক হবেন। সে মতোই এগিয়েছিলেন তিনি।ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থাকার সময় মুনরোর পরিচয় হয়েছিল জেমস মুনরোর সঙ্গে। ১৯৫১ সালে তারা বিয়ে করেন। তাদের চার কন্যাসন্তান ছিল। তার মধ্যে এক সন্তান জন্মের পরই মারা যায়। জেমসের সঙ্গে মুনরোর সংসার ভেঙে যায় ১৯৭২ সালে। পরে মুনরো দ্বিতীয় বিয়ে করেন জেরাল্ড ফ্রেমলিনকে। ফ্রেমলিন মারা যান ২০১৩ সালের এপ্রিলে।এর আগে ২০০৯ সালে মুনরো তার হার্ট বাইপাস অপারেশন এবং ক্যান্সারের চিকিৎসা করার কথা জানিয়েছিলেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য