স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ ফেব্রুয়ারি। ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পঞ্চম দিনে যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, তারা এ মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি এবং রুশ সেনা প্রত্যাহার চায়।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলছেন, মস্কো এমন এক বোঝাপড়া চায় যাতে দুই পক্ষের স্বার্থ রক্ষা হবে। বৈঠক শুরুর আগে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রুশ সেনাদের অস্ত্র নামিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে ইউক্রেইনকে দ্রুত সদস্যপদ দেওয়ার জন্য ইইউ-কেও অনুরোধ করেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার ইউক্রেইনের স্থানীয় সময় দুপুর ১টার একটু আগে বেলারুশে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। ইউক্রেইনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঊচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকলেও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজে নেই।পরিকল্পনা, সংগঠন ও নিরাপত্তা ইস্যুজনিত কারণে শান্তি আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে বলে এর আগে খবর হয়েছিল।
রোববার এক ভাষণে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, এই আলোচনার মধ্য দিয়ে সংকট সমাধানে বড় ধরনের কোনও অগ্রগতি হবে বলে আশা করছেন না তিনি। তবে ছোট হলেও এই সুযোগকে তারা ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।ইউক্রেইন যুদ্ধ থামানোর কোনও চেষ্টা করেনি, কেউ যেন এমন অভিযোগ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই শান্তি আলোচনায় কিয়েভ যোগ দিচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।
কোনও পূর্বশর্ত ছাড়াই এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে ইউক্রেইন জানিয়েছে। বেলারুশের মন্ত্রীরা সোমবার আলোচনার জন্য ইউক্রেইন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদেরকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তারা ‘পুরোপুরি নিরাপদ বোধ করতে পারে’।
বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্লাদিমির মাকেই বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো আন্তরিকভাবেই আশা করছেন যে, আজকের আলোচনায় এই সংকটের সব প্রশ্নের সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে। বেলারুশের জনগণও এর জন্য প্রার্থনা করছে।”
“আজকের আয়োজিত এই বৈঠকে যে কোনও প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা হবে এবং পূরণ করা হবে। আমরা বৈঠকের ফলের দিকে তাকিয়ে আছি,” বলেন তিনি।
সিএনএন জানায়, বৈঠকটি ঠিক কোন জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেটি নিরাপত্তাজনিত কারণে গোপন রাখা হয়েছে। বেলারুশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের স্থান বলতে কেবল গোমেল অঞ্চলে প্রিপায়াত নদীর তীরের কথা জানানো হয়েছে।