স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৬ মার্চ : অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি চাই। গত পাঁচ মাসে প্রথমবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই প্রস্তাব আনল। উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতি চেয়ে এর আগে নিরাপত্তা পরিষদে যতবার প্রস্তাব আনা হয়েছিল, প্রতিবারই ভেটো দিয়েছিল আমেরিকা । তবে সোমবারের প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থাকে ইজরায়েলের ‘বন্ধু’ দেশটি।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। আন্তর্জাতিক মহলে বারবার তোপের মুখে পড়লেও হামাসকে নিঃশেষ করার লক্ষ্যে অবিচল সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠন এই সামরিক অভিযানের ব্যাপক নিন্দা করেছে। গাজার সাধারণ মানুষের কথা ভেবে অবিলম্বে সেখানে যুদ্ধবিরতি চেয়ে বারবার প্রস্তাব পেশ হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। কিন্তু বারবার সেই প্রস্তাব ভেটো দিয়ে আটকে দিয়েছে আমেরিকা।
তবে এই ছবিটা বদলে গেল সোমবার। পবিত্র রমজান মাসে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চাই, এই দাবিতে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আনে অস্থায়ী সদস্য আলজেরিয়া। প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দেয় মোট ১৪ সদস্য দেশ। ভোটদানে বিরত থাকে আমেরিকা। তবে শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবের একটি শব্দে আপত্তি জানায় রাশিয়া, তাদের দাবি, পাকাপাকিভাবে যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ করতে হবে প্রস্তাবে। গাজায় সেনা অভিযান একেবারে থামাতে হবে ইজরায়েলকে। রাশিয়া বেঁকে বসায় আবার ভোটাভুটি শুরু হয়। এখনও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশ হয়নি নিরাপত্তা পরিষদে।
কিন্তু চর্চা চলছে ভোটপ্রক্রিয়ায় আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে। ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের পাশে না দাঁড়িয়ে যেভাবে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে ওয়াশিংটন, তাতে জল্পনা বাড়ছে। ইজরায়েলকে বারবার ‘সংযত’ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই আবেদন কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। গাজার করুণ পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার উপরে চাপ বাড়াচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশগুলোও। ক্ষোভ বাড়ছে আমেরিকার মুসলিমদের মধ্যেও। চলতি বছরের শেষে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ছাপ ফেলবে মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক। সব মিলিয়ে, বন্ধুর পাশ থেকে কি সরে দাঁড়াবে আমেরিকা?