Friday, December 6, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদগাজায় যুদ্ধবিরতির আগে কোনো বন্দি বিনিময় হবে না: হামাস

গাজায় যুদ্ধবিরতির আগে কোনো বন্দি বিনিময় হবে না: হামাস

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৬ মার্চ: ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা হামদান বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির পরই কেবল ফিলিস্তিনি বন্দি ও ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময় ঘটতে পারে।কায়রোতে হামাস, মিশর ও কাতারের কর্মকর্তাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে, তারমধ্যেই একথা বলেছেন হামদান। আলোচনায় কোনও অগ্রগতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে হামদান যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য তার দলের শর্ত ফের উল্লেখ করেন। এগুলো হলো, ইসরায়েলের সামরিক হামলার সমাপ্তি, গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং গাজার অন্য অংশে পালিয়ে যাওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িতে ফিরতে দেওয়া।

হামদান বলেন, “গত দুই দিনে ভ্রাতৃপ্রতিম কাতারি ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের রাখা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে হামাস তার অবস্থান জানিয়েছে। যুদ্ধবিরতির জন্য আমরা আমাদের শর্ত ফের নিশ্চিত করেছি: ভূখণ্ডটি থেকে (ইসরায়েলি বাহিনীর) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং বাস্তুচ্যুতরা যে এলাকাগুলো ছেড়ে গিয়েছিল সেখানে তাদের ফেরত পাঠানো, বিশেষ করে উত্তরে।” গাজার উত্তরাংশের মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। ইসরায়েল এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও সেখানে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাসিন্দা রয়ে গেছে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।২৩ জানুয়ারির পর থেকে গাজার উত্তরাংশে খাদ্য ত্রাণ সরবরাহ করতে পারছে না জাতিসংঘ। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের ত্রাণবহরকে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। এরমধ্যে সেখানে জাতিসংঘের একটি ত্রাণবহরে ইসরায়েলি সেনারা গুলিবর্ষণ করেছে আর তাতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।শনিবার যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো গাজায় বিমান থেকে খাদ্য ত্রাণ ফেলেছে। তাদের এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে ওয়াশিংটন জানিয়েছে।কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে হামদান সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা ওয়াশিংটনকে বলি, ত্রাণ পাঠানোর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইসরায়েলে তাদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য