স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৮ জানুয়ারি: ফের এডেন উপসাগরে বাণিজ্যতরীতে ড্রোন হামলা। খবর পেয়েই আক্রান্ত জাহাজটিকে সাহায্য করতে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিশাখাপত্তনম। জলদস্যুদের দমনে ওই এলাকায় মোতায়েন ছিল রণতরীটি।
এডেন উপসাগরে চলাচল করছিল মার্শাল আইল্যান্ডের নিশানবাহী বাণিজ্যতরী এমভি জেনকো পিকার্ডি। বুধবার রাত ১১.১১টা নাগাদ ড্রোন হামলা হয় ওই জাহাজটিতে। আক্রান্ত হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য চাওয়া হয় ভারতীয় নৌসেনার কাছে। খবর পেয়েই জাহাজটিকে উদ্ধারে দ্রুত পৌঁছে যায় আইএনএস বিশাখাপত্তনম। জলদস্যুদের দমনে ওই এলাকায় মোতায়েন ছিল রণতরীটি। মনে করা হচ্ছে, এই হামলার পিছনে ইয়েমেনের হাউথিদের হাত রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই জাহাজটিতে ২২ জন নাবিক ছিলেন। যার মধ্যে ৯ জন ভারতীয়। তবে এই হামলায় জাহাজটির অল্পবিস্তর ক্ষতি হলেও হতাহতের কোনও খবর নেই। বৃহস্পতিবার সকালেই এমভি জেনকো পিকার্ডিতে গিয়েছেন নৌসেনার ইওডি বিশেষজ্ঞরা। হামলায় জাহাজটির কী কী ক্ষতি হয়েছে তাঁরা তা খতিয়ে দেখেন। তবে বুধবারের এই হামলার পিছনে কারা রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে এই মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে লোহিত সাগর। সেখানে একের পর এক পণ্যবাহী জাহাজে মিসাইল ছুড়ছে হাউথিরা। ফলে এডেন উপসাগরে হামলার নেপথ্যে হাউথিরা রয়েছে কি না উঠছে সেই প্রশ্ন।
বলে রাখা ভালো, হাউথিদের তাণ্ডবে রীতিমতো যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়েছে লোহিত সাগরে। বিপন্ন বিশ্ব বাণিজ্য। এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাগর পথে ডামাডোলের জেরে মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে একাধিক দেশে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আগুন আরও ছড়িয়ে পড়লে রপ্তানি ও আমদানি শৃঙ্খল ভেঙে পড়বে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।