Friday, November 22, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদঅভ্যুত্থানের একবছর: মিয়ানমারে নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-কানাডার

অভ্যুত্থানের একবছর: মিয়ানমারে নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-কানাডার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ ফেব্রুয়ারি।  মিয়ানমারের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ একাধিক ঊধ্র্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের একবছর পূর্তিতে এ নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তিন দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ সোমবার মোট ৭ ব্যক্তিবর্গ এবং দুটো প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করার কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে আছে, মিয়ানমার জান্তা সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল থিদা ও’, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান।

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারকাজের সঙ্গে এই ব্যক্তিরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার কালোতালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা কোনও সম্পদ জব্দ হবে এবং আমেরিকানদের সঙ্গে তাদের কোনওরকম লেনদেনও নিষিদ্ধ থাকবে।মিয়ানমারের ওই কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া দু’টি সংস্থা হচ্ছে, কেটি সার্ভিসেস অ্যান্ড লজিস্টিক কোম্পানি লিমিটেড, যে কোম্পানি জান্তাকে আর্থিক সহায়তা দেয় এবং সেনাবাহিনীর প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টরেট, যে প্রতিষ্ঠান জান্তার জন্য বিদেশ থেকে অস্ত্র কেনে।

মিয়ানমারে গতবছর ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটির জান্তা প্রধান মিন অং হ্লায়িং এবং তার সরকারের অন্যান্য সদস্যদের ওপর এই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার নিষেধাজ্ঞা ছিলই। এবার আরও জান্তা কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর সমন্বিতভাবে তিন দেশের নতুন নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের জনগণের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থনেরই প্রকাশ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো একইভাবে বিচারবিভাগীয় তিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কানাডা। এই কর্মকর্তারা পদাধিকার বলে আইনের শাসনের অপব্যবহার করে বিরোধীদের দমন করেছে বলে অভিযোগ করেছে কানাডা। যুক্তরাজ্যও মিয়ানমারের এটর্নি জেনারেল এবং দুর্নীতি বিষয়ক কমিশনের চেয়ারম্যানসহ জান্তার নিয়োগ দেওয়া নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেছেন, সমন্বিত এই পদক্ষেপ মিয়ানমার সরকারের সংঘটিত অভ্যুত্থান ও সহিংসতার জন্য জবাবদিহি আরও বাড়াবে। জান্তা সরকারের দমনপীড়নে প্রায় ১৫০০ মানুষের মত্যু হয়েছে এবং ১০ হাজার মানুষ আটক হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।গত একবছরে এই নৃশসংতার জন্য দায়ীদের বিচারের পথ সুগম করতে ফাইল প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছেন মিয়ানমার নিয়ে তদন্ত চালানো জাতিসংঘের একটি তদন্ত দল।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য