স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৮ নভেম্বর: ইউক্রেইন ও প্রতিবেশী মলদোভায় কয়েকদিন ধরে চলা তুষারঝড়ে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন উক্রেইনে ও তিনজন মলদোভায় মারা গেছেন।দেশ দু’টিতে প্রবল তুষারপাতের সঙ্গে তীব্র ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এতে বহু মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে এবং শত শত শহর ও গ্রাম বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।দুর্যোগময় এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেইনে অন্তত ১৯ জন এবং মলদোভায় আরও ১০ জন আহত হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে মঙ্গলবার ইউক্রেইন জুড়ে খারাপ আবহাওয়া বিরাজ করবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। তুষারপাতের পাশাপাশি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
ইউক্রেইনের সঙ্গে প্রতিবেশী রাশিয়ার ২১ মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। ইউক্রেইনের হাজার হাজার পুরুষ সেনা যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান নিয়ে আছে; তার মধ্যেই চরম আবহাওয়ার কবলে পড়েছে দেশটি। এই শীতের মধ্যে রাশিয়া দেশটির বৈদ্যুতিক গ্রিডগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার তার নৈশ ভিডিও বক্তৃতায় জানিয়েছেন, ওদেসার দক্ষিণাঞ্চলে তুষারঝড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য এলাকাগুলোতে আরও মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।জরুরি পরিষেবাগুলো জানিয়েছে, ৮৮২টি শহর ও গ্রাম বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে, ১০টি মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং দেড় হাজারেরও বেশি ট্রাক আটকা পড়ে আছে।ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চল ও মলদোভায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঝড়ের সঙ্গে উড়ে আসা তুষার কোথাও কোথাও দুই মিটার পর্যন্ত গভীর হয়ে জমে আছে বলে ইউক্রেইনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লেমানকো জানিয়েছেন।ইউক্রেইনের কর্তৃপক্ষ সামাজিক মাধ্যমে দুর্যোগের বিভিন্ন ছবি শেয়ার করেছেন। সেগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ স্থাপনা, উপড়ে পড়া গাছ এবং তুষার আচ্ছাদিত রাস্তা থেকে ছিটকে পড়া ও রাস্তায় আটকা পড়া গাড়ি থেকে লোকজনকে জরুরি বিভাগের কর্মীরা উদ্ধার করছেন এমন চিত্র দেখা গেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিইভের মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় ওদেসা ও মাইকোলাইভ অঞ্চল ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। প্রথমেই কিইভ অঞ্চলের ৪০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিল। সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ১৫ হাজারেও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না।মলদোভার পূর্বাঞ্চলে একটি গাড়িতে দুইজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে মারা গেছেন তারা। রাজধানী কিশিনাউয়ের কাছে আরেকজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।