স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ আগস্ট : যুক্তরাষ্ট্রের দ্বীপ অঙ্গরাজ্য হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে দাবানলে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।দূরবর্তী একটি হারিকেন থেকে বয়ে আসা বাতাস দাবানলের তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে এবং মাউইর অবকাশযাপন শহর লাহায়নার অধিকাংশ জ্বালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে।পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠার বুধবার কয়েক হাজার মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এরমধ্যে কিছু মানুষ আগুনের শিখা ও শ্বাসরুদ্ধকর ধোঁয়ার কবল থেকে বাঁচতে মহাসাগরেও ঝাঁপ দিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দাবানলে লাহায়না, এর সমুদ্রবন্দর এবং আশপাশের এলাকাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্বীপটির পশ্চিমাংশ অপরাপর অংশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, মাত্র একটি মহসড়ক এখনও খোলা আছে। লাহায়নার বহু এলাকা পুড়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
দৈনিক হনলুলু-স্টার অ্যাডভ্যাটাইজার সরকারি প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, প্রায় ২৭১টি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ধ্বংস হয়েছে। লাহায়না থেকে সরে আসা বাসিন্দা মেসন জার্ভি বলেন, “আমার দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ এটি। পুরো লাহায়না পুড়ে মুচমুচা হয়ে গেছে। এটিকে মহাদুর্যোগ মনে হচ্ছে।” উপর থেকে করা ভিডিওতে লাহায়নার এলাকার পর এলাকা থেকে ঘন ধোঁয়ার স্তম্ভ উঠতে দেখা গেছে। শহরটি মাউই দ্বীপের বৃহত্তম পর্যটন গন্তব্য। এখানে বহু বড় বড় হোটেল আছে।হেলিকপ্টার পাইলট রিচার্ড অলস্টেন হাওয়াই নিউজ নাওকে বলেছেন, “মনে হচ্ছে এলাকাটিতে বোমা মারা হয়েছে। মনে হচ্ছে যুদ্ধকবলিত একটি এলাকা।”
মাউইর পশ্চিমাংশে দমকল কর্মীরা তিনটি বড় আগুনের সঙ্গে লড়াই করছেন। সেখানে দমকল কর্মী ও এলাকা ছেড়ে আসা লোকজন ছাড়া আর কেউ নেই, সবকিছুই বন্ধ। মঙ্গলবার রাতে শুরু হওয়া এই দাবানলে হাওয়াইয়ের বিগ আইল্যান্ডেরও কিছু অংশ পুড়ে গেছে। সেখানে কয়েক হাজার একর এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে অঙ্গরাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে।হাওয়াইয়ের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, অন্তত ৪০০০ পর্যটক মাউইয়ির পশ্চিম অংশ ছাড়ার চেষ্টা করছে। ওই অংশের অন্তত ১৬টি রাস্তা বন্ধ থাকলেও মাউই বিমানবন্দর পুরোপুরি সচল আছে আর লোকজন যেন দ্বীপটি ছেড়ে যেতে পারে তার জন্য এয়ারলাইন্সগুলো ভাড়া কমিয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের ছাড় দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগুন ও ধোঁয়া থেকে বাঁচতে কিছু মানুষ প্রশান্ত মহাসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, মার্কিন কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করেছে। এছাড়া আরও অন্তত ২০ জন আগুনে গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছেন, তাদের হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।