স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২৯ জুলাই: রাষ্ট্রীয় নথি গোপনের মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা হল নতুন অভিযোগ।বলা হচ্ছে, তিনি জোর করে এক কর্মীকে ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোর সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প বাড়িতে রাখা রাষ্ট্রীয় গোপন নথির তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন।বৃহস্পতিবার ফেডারেল কৌসুলিরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নতুন তিনটি অভিযোগ আনেন। এগুলো হচ্ছে, মামলার নথিপত্র ইচ্ছাকৃত ভাবে নষ্ট করার দায়। বাকি দুটি হচ্ছে, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাজে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগ।সব মিলে এই মামলায় মোট ৪০ টি অভিযোগ আনা হল। বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারী ওয়াল্ট নাউটা এবং সম্পত্তিবিষয়ক ব্যবস্থাপক কার্লোস ডি অলিভেইরার বিরুদ্ধেও নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ মুছে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগনামায় দুইজনের বিরুদ্ধেই বিচার বিভাগের তদন্তে বাধা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগ করা হয়।আদালতের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বিচারবিভাগ ট্রাম্পের বাড়িতে গোপন নথি যেখানে রাখা ছিল সেখানকার ফুটেজ চেয়ে সমন জারির পর তারা চক্রান্ত করে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন।কৌসুলিরা বলছেন, অলিভেইরা দুইবার মার-আ-লাগোর তথ্যপ্রযুক্তি পরিচালককে বলেছিলেন যে, ‘বস’ চান সার্ভারে যা আছে তা মুছে দেওয়া হোক। আর এ কথা যেন দুইজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে সেকথাও বলেছিলেন তিনি।সে সময় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা অলিভেইরাকে বলেছিলেন যে, তার একাজ করার এখতিয়ার আছে বলে মনে করেন না তিনি।অভিযোগনামায় আরও একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, অলিভেইরা বন-জঙ্গলের মধ্য দিয়ে হেঁটে মার-আ-লাগো রেসর্ট লাগোয়া আরেক জায়গায় গিয়েছিলেন নাউটার সঙ্গে দেখা করতে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, নাউটার অনুরোধে অলিভেইরাকে ফোন করে ট্রাম্প তার জন্য আইনি পরামর্শকের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। তবে এই অভিযোগের ব্যাপারে অলিভেইরার আইনজীবী কোনও মন্তব্য করেননি।রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজ বাড়িতে রাখার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ট্রাম্পের বিচার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী বছর ২০২৪ সালের মে তেই শুরু হবে বলে আদালত গত ২১ জুলাইয়েই জানিয়েছে।ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়ি মার-আ-লাগোতে তল্লাশি চালিয়েই গতবছর বহু গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন রাষ্ট্রীয় নথি জব্দ করা হয়। এসব নথির মধ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং এফবিআই এর জাতীয় নিরাপত্তা–সংক্রান্ত নথিও ছিল।সরকারি নিয়মানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদেরকে সব নথি ন্যাশনাল আর্কাইভে জমা দিতে হয়। কিন্তু ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর রাষ্ট্রীয় এসব গোপন নথি নিজের কাছে রেখে দেওয়ার কারণে গত ৮ জুনে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প।এই নথিগুলো উদ্ধার করতে আসা কর্মকর্তাদেরকে ট্রাম্প মিথ্যা বলেছিলেন বলেও অভিযোগ আছে।