স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৩ জুন: মালয়েশিয়ার আদালতে শুক্রবার অভিযোগের মুখোমুখি হতে চলেছেন থাইল্যান্ডের চার নাগরিক।মালয়েশিয়ার সঙ্গেকার থাইল্যান্ড সীমান্তে ২০১৫ সালে গণকবর আবিষ্কার এবং মানব পাচার শিবির চালানোর সন্দেহে এই থাই নাগরিকদেরকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী একথা বলেছেন।থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল এবং মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলের গভীর জঙ্গলে মানব পাচারকারীদের বড় একটি আস্তানা আছে। তারা নৌকায় করে মানুষজনকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিয়ে যায়। তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিম।২০১৫ সালে সীমান্তের থাই অংশে মানব পাচারকারীদের শিবির এবং গণকবর আবিষ্কার হওয়ার পর থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ মানব পাচারকারীদের দমনাভিযান শুরু করে। ফলে পাচারকারীরা তখন হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সাগরে ছেড়ে দেয়,যারা ভিড়ে ঠাসা নৌকায় করে সীমান্ত এলার দিকে চলে যায়।
২০১৫ সালে আবিষ্কার হওয়া মানবপাচারকারীদের শিবির নিয়ে থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়া দুই দেশেরই তদন্ত চলার পর এই পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চার জনকে ওয়ান্টেড তালিকায় রাখা হয়। এ সপ্তাহে থাইল্যান্ড থেকে তাদেরকে মালয়েশিয়ায় হস্তান্তর করা হয়েছে।মালয়েশিয়ার নর্দার্ন পেরলিস রাজ্যের একটি সেশন আদালতে শুক্রবার ওই চারজনকে অভিযুক্ত করা হবে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী সাইফুদ্দিন ইসমাইল।চারজন কী কী অভিযোগের মুখোমুখি হবেন তা জানাননি সাইফুদ্দিন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, মালয়েশিয়া সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা আন্তঃসীমান্ত অপরাধকে গুরুত্বের সঙ্গেই নেয়। বিশেষ করে মানব পাচার এবং অভিবাসনপ্রত্যাশী পাচারের বিষয়টিকে।সীমান্তে শিবির নিয়ে তদন্তের অংশ হিসাবে মালয়েশিয়া সেই ২০১৭ সাল থেকে ১০ থাই নাগরিকের হস্তান্তর চেয়ে এসেছে। অভিযোগের মুখোমুখি হতে চলা থাই নাগরিকরা তাদেরই চারজন বলে জানিয়েছেন সাইফুদ্দিন।