Wednesday, January 15, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদসুদানে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল

সুদানে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,,২৮ এপ্রিল: সুদানের বিবদমান দুই বাহিনী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়াতে সম্মত হয়েছে।আগের তিন দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে তা নবায়নে রাজি হলো সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)।যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘসহ সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলোর ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াল।তবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ার মধ্যেও রাজধানী খার্তুমে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে।আগের যুদ্ধবিরতি হাজারো মানুষকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দেয়। এ যুদ্ধবিরতির সময় বেশ কিছু দেশ তাদের নাগরিকদের সুদান থেকে সরিয়ে নেয়।

ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সুদানের সামরিক বাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ১৫ এপ্রিল লড়াই শুরু হয়। এ সংঘাতের এক পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি।প্রায় দুই সপ্তাহের সংঘাতে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হাজারো।জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জেরে ২৪ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে সুদানে প্রথম দফার ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকরে সম্মত হয় বিবদমান দুটি পক্ষ।

সুদানের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে গতকাল সন্ধ্যায় সুদানের সেনাবাহিনী আরেক দফায় ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। কয়েক ঘণ্টা পর প্রতিপক্ষ আরএসএফও যুদ্ধবিরতি নবায়নে সম্মতি জানায়।দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে সুদানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করা দেশ দক্ষিণ সুদান। এ আলোচনায় নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাতে রাজি হয়েছে সুদানের সেনাবাহিনী।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গতকাল বলেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে ওয়াশিংটন খুবই সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এতে সংঘাত পুরোপুরি না থামলেও সহিংসতার মাত্রা কমেছে।হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে পরে বলেন, সুদানের পরিস্থিতি যেকোনো সময় আরও খারাপ হতে পারে।আরএসএফের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, রাজধানী খার্তুমে সেনাবাহিনী তার অবস্থান জোরদার করছে।রাজধানী খার্তুম ছাড়াও দারফুর ও অন্যান্য এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।

সংঘাতে কমপক্ষে ৫১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৪ হাজার ২০০ মানুষ। তবে প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সুদানের সংঘাতকবলিত এলাকায় রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়াসহ যথাযথ স্বাস্থ্যসেবার অভাবে অনেক মানুষ মারা যেতে পারেন বলে তারা আশঙ্কা করছে।সুদানের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোর বেশির ভাগ হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে না। রাজধানী খার্তুমের ৬০ শতাংশের বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র অচল হয়ে পড়েছে।সুদানের সেনাবাহিনীর বিবৃতির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা (সেনাবাহিনী) দেশটির বেশির ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় পরিস্থিতি কিছুটা জটিল। সুদানের সেনাবাহিনীর এমন দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য