স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২৮ মার্চ: যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে প্রতিহত করতে ইউক্রেনকে যুদ্ধট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জার্মানি। এবার জার্মানি সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে। ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে লেপার্ড ট্যাংক দিয়েছে দেশটি। গতকাল সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ এই কথা জানিয়েছেন।ওলাফ শলৎজ নেদারল্যান্ডস সফর করছেন। গতকাল দেশটির রটারডামে ডাচ্ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় শলৎজের কাছে ইউক্রেনকে ট্যাংক সরবরাহের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।জবাবে জার্মান চ্যান্সেলর শলৎজ বলেন, ‘হ্যাঁ, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা ইউক্রেনকে লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহ করেছি। আমরা খুবই আধুনিক ট্যাংক সরবরাহ করেছি।’ওলাফ শলৎজের এমন মন্তব্যের পর জার্মান সংবাদমাধ্যম স্পেজেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহের শেষের দিকে জার্মানির সরকার ইউক্রেনকে ১৮টি অত্যাধুনিক লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহ করেছে।
এরপর জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দেশটি ১৮টি লেপার্ড ট্যাংক দিয়েছে ইউক্রেনকে। সেই সঙ্গে ইউক্রেনকে দুটি ট্যাংক মেরামতের সরঞ্জাম ও ৪০টি সামরিক যান দিয়েছে জার্মানি।এই বিষয়ে জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি রেখেছি। ইউক্রেনের বন্ধুদের হাতে সময়মতো ট্যাংক তুলে দেওয়া হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে এখন যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের বাহিনী স্পষ্ট ব্যবধান গড়তে পারবে।’ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে ট্যাংক ও ভারী অস্ত্র চেয়ে আসছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাস দুয়েক আগে জার্মানি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ট্যাংক সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছিল।লেপার্ড-২ ট্যাংক হলো বিশ্বের প্রথম সারির যুদ্ধট্যাংকের একটি। জার্মানির সেনাবাহিনী এবং অনেক ইউরোপীয় দেশের সামরিক বাহিনী এই ট্যাংক ব্যবহার করে। ইউরোপীয় নয়, এমন দেশগুলোর মধ্যে কানাডা ও ইন্দোনেশিয়া এই ট্যাংক ব্যবহার করে। আফগানিস্তান, কসোভো ও সিরিয়ার সংঘাতে ডিজেল ইঞ্জিনচালিত এই যুদ্ধট্যাংকের ব্যবহার দেখেছে বিশ্ববাসী।লেপার্ড-২ ট্যাংকের নানা বৈশিষ্ট্য আছে। ডিজাইনও বিভিন্ন রকম হয়। এই ট্যাংকে নাইটভিশন ইকুইপমেন্ট এবং একটি লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার আছে, যার সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব মাপা যায়। লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার রুক্ষ ভূখণ্ড বা রুক্ষ ভূমির ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় চলমান লক্ষ্যের ওপর ভালোভাবে নজরদারি করতে সাহায্য করে।