স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,১০ মার্চ: জার্মানির হামবুর্গ শহরে জিহোভা’স উইটনেস গির্জায় গোলাগুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাতে এ ঘটনা ঘটলেও হামলার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে বন্দুকধারীও আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে কতোজন নিহত হয়েছেন পুলিশ তা জানায়নি। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।জার্মানির বিল্ড সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে হামবুর্গের জিহোভা’স উইটনেস গির্জার কিংডম হলে গোলাগুলিতে সাতজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত ৯টার কিছুক্ষণ পর একটি কল পেয়ে কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয়, তারা বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত ও কয়েকজনকে মৃত অবস্থায় পায়।“এ সময় তারা উপর থেকে আসা একটি গুলির শব্দ পান, উপরতলায় গিয়ে সেখানে আরেকজনকে পান,” বলেন এ মুখপাত্র।ঘটনাস্থলে থাকা এক প্রতিবেদককে উদ্ধৃত করে জার্মানির বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, হামবুর্গের আইস্টাডফ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের মোবাইল ফোনে ‘জীবন বিপন্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতির’ সতর্ক বার্তা পেয়েছেন এবং ওই এলাকার রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
টেলিভিশন ফুটেজের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফায়ার ইঞ্জিন ও পুলিশের বহু গাড়িকে রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে এবং জরুরি পরিষেবার কর্মীরা কিছু লোককে কম্বল মুড়িয়ে একটি বাসে তুলছিলেন।অজ্ঞাত একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা গুলির শব্দ শুনেছি। পরপর ১২টি গুলির শব্দ। তারপর দেখলাম, লোকজনকে কালো ব্যাগের করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”জার্মানির বৃহত্তম বন্দরনগরী হামবুর্গের মেয়র পিটার শেনশাহ এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।গত কয়েক বছরে জার্মানিতে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী গুলির ঘটনা ঘটেছে। ২০২০ এর ফেব্রুয়ারিতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হানাউতে উগ্র ডানপন্থার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে সন্দেহ করা এক বন্দুকধারী তুরস্ক থেকে আসা অভিবাসীসহ নয়জনকে গুলি করে হত্যার পর নিজের মাকেও হত্যা করে, এরপর সে ওই বন্দুকের গুলিতেই আত্মহত্যা করে।এর আগে ২০১৯ এ আরেক বন্দুকধারী পূর্বাঞ্চলীয় শহর হালেতে ইহুদিদের পবিত্র ইওম কিপুরের দিন এক সিনাগগের সামনে দুইজনকে গুলি করে হত্যা করে।