স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২২ ফেব্রুয়ারি: বছরের শেষ নাগাদ জার্মান অর্থনীতি প্রায় ১৬ হাজার কোটি ইউরো ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে, যা মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ৪ শতাংশ। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে এমন ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জার্মানির একটি আঞ্চলিক দৈনিক রাইনিশে পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জার্মান চেম্বার্স অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্সের (ডিআইএইচকে) প্রধান পিটার আদ্রিয়ান এসব কথা বলেছেন।এর মানে হলো, ইউরোপের বিশাল অর্থনীতির দেশটিতে অন্য সময়ের তুলনায় মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণ ২ হাজার ইউরো কম হবে।অন্য অনেক দেশের তুলনায় জার্মানির অর্থনীতিতে সেখানকার শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা বেশি। আর খাতটির বেশির ভাগই জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল। এর মানে হলো, জ্বালানির মূল্য বাড়লে জার্মান কোম্পানিগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে। গত বছর ইউরোপে জ্বালানির দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল।
গত মাসে আন্তর্জাতিক বিমা কোম্পানি আলিয়াঞ্জ ট্রেদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে জার্মানিকে জ্বালানি বাবদ প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি খরচ করতে হবে। অর্থাৎ, গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর আগের বছরের তুলনায় পরের বছর ৪০ শতাংশ খরচ বাড়বে।আদ্রিয়ান বলেন, অন্য অনেক দেশের তুলনায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে জার্মানিতে প্রবৃদ্ধির পরিমাণও কম হবে। গত বছরের পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে এমন অবস্থা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।দশকের পর দশক ধরে রাশিয়ার পাইপলাইন দিয়ে আসা গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ছিল জার্মানি। অপেক্ষাকৃত কম দামে এ গ্যাস সংগ্রহ করত তারা। আর এখন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় রাশিয়াকে জ্বালানি খাতে উচ্চ মূল্য দিতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত আছে। আর ফ্রান্সের আছে বিপুল পারমাণবিক শক্তি।আদ্রিয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় জার্মানিতে গ্যাসের দাম তিন থেকে পাঁচ গুণ বেশি। আর ফ্রান্সের তুলনায় জার্মানিতে বিদ্যুতের দাম চার গুণ বেশি।