Friday, March 29, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদলন্ডন পুলিশে ক্রমিক ধর্ষক

লন্ডন পুলিশে ক্রমিক ধর্ষক

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,১৮ জানুয়ারি:

দুই দশক ধরে নির্বিঘ্নে ধর্ষণসহ নানা যৌন অপরাধ করে আসছিলেন যুক্তরাজ্যের লন্ডন পুলিশের এক কর্মকর্তা। শেষ পর্যন্ত তিনি ধরা পড়েছেন। অপরাধ স্বীকার করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই ক্রমিক ধর্ষককে গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। খবর এএফপির।চাকরিচ্যুত পুলিশ কর্মকর্তার নাম ডেভিড ক্যারিক। ১২ নারীকে ধর্ষণসহ একের পর এক অন্যান্য যৌন অপরাধ সংঘটনের কথা তিনি স্বীকার করেছেন। এই স্বীকারোক্তির পরই তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

ক্যারিকের ক্রমিক যৌন অপরাধের ঘটনাগুলো যুক্তরাজ্যবাসীকে হতবাক করে দিয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে ব্যাপকভাবে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন হয়েছে।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের সরকার দেশটির বাহিনীগুলোতে থাকা এ ধরনের অপরাধী ও দুর্নীতিবাজদের মূলোৎপাটনের আহ্বান জানিয়েছে।ক্যারিক লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্বীকারোক্তি পুলিশ বাহিনীটির ওপর চাপ বাড়িয়েছে।দুই বছর আগে বাহিনীটির অপর এক কর্মকর্তা এক তরুণীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা করেছিলেন। এ ঘটনার ধাক্কা এখনো সামলে উঠতে পারেনি দেশটির পুলিশ। এখন ক্যারিক ইস্যুতে তারা আরও চাপে পড়ল।ক্যারিকের স্বীকারোক্তির এক দিন পর লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার লুইসা রোলফ বলেন, তাঁর (ক্যারিক) অপরাধ ভয়াবহ। এটা বিকৃত মানসিকতা। পুলিশি পেশার ওপর এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে।পুলিশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাবিষয়ক শুনানিতে লুইসা বলেন, ‘আমি সত্যিই আশা করছি যে এ ধরনের ঘটনা আর কখনো দেখতে হবে না।’

পার্লামেন্ট সদস্য ও বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সশস্ত্র শাখায় কর্মরত ছিলেন ৪৮ বছর বয়সী ক্যারিক। ২০২১ সালের শেষ দিকে অভিযোগ আসার পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।সাধারণত একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিচারকাজ শেষ হওয়ার পরই পুলিশে অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়ে শুনানি হয়ে থাকে। কিন্তু দোষ স্বীকার করায় বাহিনীতে ক্যারিকের ঘটনার শুনানি দ্রুত সম্পন্ন হয়। একই সঙ্গে তাঁর অভূতপূর্ব অপরাধের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, যা সচরাচর দেখা যায় না।লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মার্ক রাউলির প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী হাইয়েল জেনকিন্স পুলিশ কর্মকর্তা ক্যারিকের অপরাধকে ‘জঘন্য, লক্ষ্যভিত্তিক ও ইচ্ছাকৃত’ বলে অভিহিত করেন।ক্যারিক বাহিনীর শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি কোনো আইনজীবীও নিয়োগ দেননি। চরম অসদাচরণের দায়ে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।আদালতে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের শুনানি শেষে ক্যারিকের সাজা ঘোষণা করা হবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য