স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক , ১৬জানুয়ারি:
নেপালের পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার সময় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে পাওয়া গেছে ভয়ঙ্কর সেই দুর্ঘটনার শেষ মুহূর্তের ভিডিও।কাঠমান্ডু থেকে ৭২ জন আরোহী নিয়ে উড়ে পর্যটন নগরী পোখরায় নামার পথে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর ৭২-৫০০ উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয় রোববার সকালে।ওই ফ্লাইটে ৬৮ জন যাত্রীসহ ৭২ জন আরোহী ছিলেন। উদ্ধার অভিযানে থাকা নেপালের সেনাবাহিনী সোমবার সকালে জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাউকে জীবিত পায়নি তারা।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপে পাওয়া ওই মোবাইলের ভিডিওটি ইতোমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওর শুরুটা হয়েছে উড়োজাহাজের ভেতরে যাত্রীদের বসে থাকা দৃশ্য দিয়ে। জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছিল নিচের পোখারা শহর। বিমানটি তখন অবতরণের আগে আকাশে চক্কর দিচ্ছিল। এরপর হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে মোবাইল। ক্যামেরার সামনের দৃশ ওলট–পালট হয়ে যায়। শেষ কয়েক সেকেন্ডে স্কিনে দেখা যায় ভয়াবহ আগুনে জ্বলছে সব, শোনা যায় যাত্রীদের আতঙ্কিত চিৎকার।এনডিটিভি লিখেছে, ওই ভিডিওর সত্যাসত্য তারা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। তবে ওই ফ্লাইটে থাকা পাঁচ ভারতীয় নাগরিকের একজন, উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা সনু জইশওয়াল উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে আগে ফেইসবুকে লাইভ করছিলেন। দুর্ঘটনায় তিনিও মারা গেছেন। তার ফেইসবুকেও দেখা যায় একই ভিডিও। নেপালের সাবেক এমপি ও নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা অভিষেক প্রতাপ শাহ ভিডিওটি এনডিটিভিকে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেছেন, উড়োজাহাজের ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে এক মোবাইলে পাওয়া ওই ভিডিও তিনি পেয়েছেন এক বন্ধুর কাছ থেকে।এনডিটিভিকে অভিষেক প্রতাপ শাহ বলেন, “আমার বন্ধু এটা পেয়েছে এক পুলিশ সদস্যের কাছে। ভিডিওটা সঠিক। আজকের ভিডিও, ফ্লাইটটা তখন অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।”ওই দুর্ঘটনার আরও একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেটি ধারণ করা হয়েছে বাইরে থেকে। সেখানে দেখা যায়, অবতরণের জন্য চক্কর দিতে থাকা একটি উড়োজাহাজ হঠাৎ কাত হয়ে মাটির দিকে নেমে আসছে।বলা হচ্ছে, নেপালে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা এটি। এর আগে ২০১৮ সালের ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার সময় বাংলাদেশের ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হলে ৫১ জনের প্রাণ যায়।