স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৯ ডিসেম্বর: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিবেশী মিত্র দেশ বেলারুশের পথে রওয়ান হয়েছেন আর সেখানে থাকা রুশ সেনারা মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেইনজুড়ে নতুন করে ব্যাপক হামলা শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।সোমবার পুতিন বেলারুশের পথে রওনা হয়েছেন। সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সাবেক সোভিয়েত মিত্র দেশটিতে এটি তার প্রথম সফর। এটিকে একটি বিস্তৃত ‘কর্ম সফর’ বলে বর্ণনা করেছে ক্রেমলিন।বেলারুশ রাশিয়ার অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে ‘সামরিক অভিযান’ চালানোর জন্য মস্কোকে তাদের ভূমি ব্যবহার করতে দিয়েছিল দেশটি। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কো বরাবরই বলে আসছেন, বেলারুশের সেনা ইউক্রেইনে পাঠানোর কোনো অভিপ্রায় তার নেই।কিন্তু কিইভের আশঙ্কা, ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে নতুন স্থল আক্রমণে যোগ দিতে ও ফের নতুন একটি যুদ্ধক্ষেত্র খোলার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পুতিন সেখানে যাচ্ছেন।রোববার রাতে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তারা মস্কো ও বেলারুশের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সব ‘প্রতিরক্ষা পরিস্থিতির’ জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
কয়েক মাস ধরে কিইভের কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলে আসছেন, প্রতিবেশী বেলারুশ রাশিয়ার বাহিনীগুলোর সঙ্গে যোগ দিতে পারে এবং তাদের ভূমি ব্যবহার করে দ্বিতীয় একটি যুদ্ধক্ষেত্র খোলার ক্ষেত্রে রাশিয়াকে সহযোগিতা করতে পারে।রোববার ইউক্রেইনের শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকের পর জেলনস্কি বলেছেন, “একই সঙ্গে রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে থাকা আমাদের সীমান্ত রক্ষা আমাদের ধ্রুব অগ্রাধিকার। আমরা সম্ভাব্য সব ধরনের প্রতিরক্ষা পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। “লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার জন্য যাই করার জন্য প্ররোচিত হন না কেন তা এই যুদ্ধে ইউক্রেইন ও ইউক্রেইনীয়দের বিরুদ্ধে করা অন্য সব অসুস্থ ধারণাগুলোর মতোই তাদের কোনো সাহায্য করবে না।” অক্টোবরে বেলারুশে পাঠানো রুশ সেনারা ‘যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশলগত অনুশীলন’ পরিচালনা করবে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।তবে কখন এবং কোথায় এ প্রশিক্ষণ মহড়া চালানো হবে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।