স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক,৩০ নভেম্বর: করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে সব বিদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করেছে ইসরায়েল। এর কয়েকঘন্টা পর মরোক্কোও সব ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এর আওতায় আছে খোদ মরোক্কোর নাগরিকরাও।
সোমবার থেকে শুরু করে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত অন্যান্য বিদেশি ভ্রমণকারীদের পাশাপাশি মরোক্কোর নাগরিকরাও দেশে ঢোকার অনুমতি পাবে না।দেশটির কর্মকর্তারা এর সঙ্গে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যে আছে বাইরে যাওয়া ফ্লাইটগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ভূমি ও সমুদ্র সীমাও বন্ধ হওয়া।
ইসরায়েল মহামারীর শুরুর দিকে সেদেশে বিদেশি দর্শণার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেও মাত্র চার সপ্তাহ আগেই কোভিড টিকা নেওয়া ভ্রমণকারীদের জন্য আকাশ পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দিয়েছিল।
কিন্তু করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে দেশটি রোববার প্রথম সব বিদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য দ্বার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এর আওতায় রোববার এবং সোমবারের মধ্যে মধ্যরাত থেকে বিদেশিদের জন্য আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের দুয়ার।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন ধরনের আবির্ভাব ঘটার পর থেকে বিশ্বের দেশগুলো খুবই সংক্রামক এই ধরন ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এরই মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ লাফিয়ে বেড়েছে।
এছাড়াও, নেদারল্যান্ডস ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশেই ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধ করাসহ ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। কোনও কোনও দেশ সুনির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। আবার কোনও কোনও দেশ বিদেশিদের আগমন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে।
ইসরায়েল এবং মরোক্কার মতো জাপানও সোমবার বিদেশিদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন আবার কেবল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগত ভ্রমণকারীদের ওপর দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়াও সোমবার থেকে হংকং এবং দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চল থেকে আসা ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। হংকংয়ে বৃহস্পতিবার দুইজনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই সেখান থেকে ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত, পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশগুলো।
জাপানে সোমবার মধ্যরাত থেকে সব বিদেশি ভ্রমণকারীর প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলেও অন্তত ১৪ দিনের জন্য ঢুকতে পারবেন না কোনও বিদেশি নাগরিক। কেবল জরুরি কিছু ক্ষেত্রে বিদেশিরা প্রবেশ করতে পারবেন, তবে সেক্ষেত্রে বিশেষ কমিটির অনুমোদন দরকার পড়বে।
কোভিড টিকা নেওয়া ইসরায়েলিরা দেশে ফিরতে চাইলে তাদেরকে বিমানবন্দরে নামার পরই পরীক্ষা করা হবে এবং তিনদিন সেলফ কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। আর টিকা না নেওয়া ইসরায়েলিদেরকে ৭ দিন সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।