Friday, March 29, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদবিদ্যুৎ না থাকলে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হতে পারে: কিইভের মেয়র

বিদ্যুৎ না থাকলে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হতে পারে: কিইভের মেয়র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৭ নভেম্বর: কিইভ পুরোপুরি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়লে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেইনের রাজধানীর মেয়র ভিতালি ক্লিচকো। এর জন্য কিইভের বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকা উচিত বলে সতর্কও করেছে তিনি।বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেইনের অতি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে লাখ লাখ ইউক্রেইনীয়কে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ ও পানিবিহীন থাকতে হচ্ছে। অতিরিক্ত চাপ এড়াতে ও মেরামতের জন্য বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও সঞ্চলন লাইনে রাশিয়ার হামলার কারণে ইউক্রেইনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইউক্রেইনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোর ওপর রাশিয়া ফের বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে বলে সতকর্ব করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।ইউক্রেইনীয় টেলিভিশনে কথা বলার সময় মেয়র ক্লিচকো অবকাঠামোতে রাশিয়ার হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ ও ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।  তিনি বলেন, “ইউক্রেইনীয়দের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দরকার নেই, তার দরকার ভূখণ্ড; তার দরকার আমাদের ছাড়া ইউক্রেইন।“তাই এখন যা হচ্ছে (অবকাঠামোতে হামলা) তা গণহত্যা। তার কাজ হল আমাদের ঠাণ্ডায় মেরে ফেলা বা আমাদের ভূখণ্ড ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা যেন এটি তিনি পেতে পারেন। “ কিইভের আরেক কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, পুরোপুরি বিদ্যুৎবিহীন হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনও বন্ধ হয়ে যাবে।  শীতে কিইভে গড় তাপমাত্রা শূন্যের নিচে থাকে এবং রাতে আরও নেমে যায়।ক্লিচকো (৫১) জানিয়েছেন, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে কর্তৃপক্ষ ‘সবকিছু’ করছে তারপরও ভিন্ন পরিস্থিতির জন্যও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।তিনি বলেছেন, কিইভের শহরতলিতে এখনও বিদ্যুৎ ও পানি আছে, তাই সেখানে যে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব আছে তাদের সঙ্গে থাকার জন্য নগরীর ৩০ লাখ বাসিন্দার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত; এতে কিইভ পুরোপুরি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়লে সেই ‘বাজে পরিস্থিতি’ মোকাবেলার মতো একটি পরিকল্পনা তাদের হাতে থাকবে।   তিনি জানান, কর্তৃপক্ষ জ্বালানি, খাবার ও পানি মজুদ করছে আর বাসিন্দাদেরও তাই করা উচিত।কিইভজুড়ে অন্তত এক হাজার উষ্ণ আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, জরুরি পরিস্থিতির সময় ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে লোকজন সেখানে ঠাঁই নিতে পারবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য