স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,২৭ অক্টোবর: জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) জানিয়েছে, তারা ইরানের একটি শিয়া মাজারে হামলা চালিয়ে ১৫ জনকে হত্যা করেছে। ইরান এ হামলার জবাব দেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছে।পুলিশ হেফাজতে মাশা আমিনির (২২) মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভের ঘূর্ণিপাকের মধ্যে বুধবারের এ হামলার ঘটনায় দেশটিতে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এক বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করেছে যে শিরাজের শাহ চেরাগ মাজারে হামলা চালিয়েছে।ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এ হামলার জন্য ‘তাকফিরি সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করেছে; ইসলামিক স্টেটের মতো সুন্নি জঙ্গিদের বোঝাতে তেহরান এ আখ্যা ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।আইএস এর আগেও ইরানে চালানো বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছিল। এর মধ্যে ২০১৭ সালে দেশটির পার্লামেন্ট এবং ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহল্লাহ খোমেনির মাজারে চালনো প্রাণঘাতী হামলা অন্যতম।বুধবার ছিল কুর্দি তরুণী আমিনির মৃত্যুর ৪০তম দিন। আমিনির মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে ওঠা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে এদিনও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে।ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ ভাহিদি বিক্ষোভকারীদের দায় দিয়ে বলেছেন, তাদের কারণেই জঙ্গিরা শিরাজে হামলার সুযোগ পেয়েছে।রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী, ইরান জবাব দেবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

আইএস হামলা দায় স্বীকার করার আগে রাইসি বলেন, “অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ইরানের শত্রুরা জাতির ঐক্যে ফাটল ধরাতে ব্যর্থ হওয়ার পর সহিংসতা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে প্রতিশোধ নেয়। অবশ্যই এ অপরাধের জবাব দেওয়া হবে।“যারা এ হামলার পরিকল্পনা করেছে আর যারা হামলাটি চালিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী বাহিনীগুলো তাদের একটি শিক্ষা দেবে।”ইরানের আধা-স্বায়ত্তশাসিত বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, প্রবেশপথে মাজারের এক কর্মীকে গুলি করে হামলাকারী, তারপর তার রাইফেল জ্যাম হয়ে যায় আর তখন আশপাশে থাকা লোকজন তাকে ধাওয়া করে।কিন্তু সে তার রাইফেল ঠিক করে ফেলে এবং তাকে যারা ধাওয়া করেছিল তাদের দিকে গুলি ছুড়ে, তারপর মাজারের একটি উঠানে প্রবেশ করে সেখানে থাকা ভক্তদের গুলি করে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে বলে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে।একজন প্রত্যক্ষদর্শী রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে বলেন, “আমরা দোয়া-দুরুদ পড়ার পর গুলির শব্দ শুনি আমি। আমরা মাজারের পাশে একটি ঘরে ঢুকে পড়ি, ইতরটি সেখানে আসে আর এক পশলা গুলিবর্ষণ করে, তখন আমার হাতে ও পায়ে (গুলির) আঘাত লাগে।“আমার স্ত্রীর পেছনদিকেও গুলি লেগেছে, কিন্তু খোদার রহমতে আমার সন্তান আঘাত পায়নি; তার সাত বছর বয়স। “