Friday, April 19, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদদিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা পাবেন ফ্ল্যাট, নিরাপত্তা

দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা পাবেন ফ্ল্যাট, নিরাপত্তা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২রা অক্টোবর: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বসবাসের জন্য ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হবে এবং পুলিশি নিরাপত্তাও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সরকারের একজন মন্ত্রী।বুধবার এক টুইটে গৃহায়ণ ও নগরায়ণ বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বলেন, ‘‘কেউ আশ্রয় প্রার্থনা করলে ভারত তাকে সব সময় স্বাগত জানিয়েছে।”এ পদক্ষেপের মাধ্য দিয়ে দিল্লি মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি মনোভাব বদলাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।রোহিঙ্গাদের জন্য দিল্লিতে নতুন কিছু বিধান জারি হয়েছে, যা তুলে ধরেছেন মন্ত্রী হারদীপ।তিনি বলেন, ‘‘ভারত জাতিসংঘের রিফিউজি কনভেনশন-১৯৫১ এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সেটি তারা অনুসরণ করে এবং জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষ শরণার্থীদের সব ধরনের সুবিধা দেয়।”যদিও ভারত জাতিসংঘের ওই কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। যে কনভেনশনে শরণার্থীদের ‍অধিকার এবং তাদের সুরক্ষা দিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো বাধ্য থাকবে বলে উল্লেখ আছে।তবে মন্ত্রী হরদীপ ‘২৪ ঘণ্টা’ পুলিশি সুরক্ষা দেওয়া বলতে আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন সেটি ব্যাখ্যা করেননি। ভারতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সহিংস ঘটনার শিকার হয়েছেন।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার অবশ্য এর আগে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালিয়েছে। বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ, যাদের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।ওদিকে, এ বছরের শুরুর দিকের এক হিসাব অনুযায়ী, দিল্লিতে প্রায় এক হাজার ১০০ রোহিঙ্গা বাস করে। এছাড়া, ভারতের অন্যান্য জায়গা মিলিয়ে সেদেশে প্রায় ১৭ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছে।তাদের অনেকে হকার, শ্রমিক বা রিকশা চলকের কাজ করেন বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আলি জোহার।তিনি বলেন, প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গা এ বছর বাংলাদেশে ফিরে গেছেন। এই রোহিঙ্গাদের আশঙ্কা, তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।২৭ বছরের যুবক আলি প্রায় এক দশক আগে ভারতে যান এবং পরিবার নিয়ে দিল্লির একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।রোহিঙ্গাদের বিষয়ে দিল্লির মনোভাব পরিবর্তনের নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জাতিসংঘের রিফিউজি কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে এবং রোহিঙ্গাদের উন্নত আবাসন ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পুনর্বাসনের যে পরিকল্পনার কথা বলা হচ্ছে, আমরা সেটিকে স্বাগত জানাই।”তবে এর কারণে ভারতের ডানপন্থি হিন্দু উগ্রবাদীদের রোষানলে পড়ার আশঙ্কার কথাও বলেছেন আলি জোহর। তিনি বলেন, নতুন যে সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেটি রোহিঙ্গাদের আটককেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।‘‘যদি অ্যাপার্টমেন্টগুলো ডিটেনশন সেন্টার হয়ে ওঠে তবে তা আমাদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়াবে,” বলেন আলি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য