স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৮ সেপ্টেম্বর।।ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় চার অঞ্চলে গণভোট শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার। রুশ নিয়ন্ত্রিত এসব অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ করে নেওয়াই এ ভোটের উদ্দেশ্য।এ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণা আসতে পারে আগামী শুক্রবার। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে বিবিসি।ওই দিন রাশিয়ার পার্লামেন্টে পুতিনের ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। সেই ভাষণেই ইউক্রেইনের অধিকৃত এলাকাগুলোকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রশ্নে রুশ সেনা ও মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেইনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরিজিয়া অঞ্চলে গণভোট শুরু হয়েছে গত শুক্রবার সকাল থেকে।এ ভোট চলার কথা মঙ্গলবার পর্যন্ত। গণভোটের রায় পক্ষে এলে রাশিয়া ইউক্রেইনের প্রায় ১৫ শতাংশ অংশকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করার সুযোগ পাবে।
ইউক্রেইন এবং পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, গণভোটের ফল ক্রেমলিন এরই মধ্যে নির্ধারণ করে রেখেছে। এই ফল তারা অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণের অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করবে।রাশিয়া এই অঞ্চলগুলো নিজ দেশের অন্তর্ভুক্ত করতে পরলে তখন তারা বলতে পারবে যে, ইউক্রেইনকে দেওয়া পশ্চিমা দেশের অস্ত্র দিয়ে তাদের দেশে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এতে যুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, রাশিয়ার গণভোটের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের ভয়াবহ লংঘন। ওদিকে, কিইভ বলছে, তারা তাদের ভূখণ্ডের কোনও অংশে রাশিয়ার দখলদারিত্ব মেনে নেবে না এবং শেষ রুশ সেনা প্রত্যাহার হওয়া পর্যন্ত লড়বে।কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলছেন, কিইভের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হতে চাওয়া অঞ্চল ও এর জনগণকে কখনোই ছেড়ে যাবে না তারা।ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে থাকা রুশভাষীদের নির্বিচারে হত্যা ও নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষায় এবং রাশিয়াকে ধ্বংসে পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র ভণ্ডুল করতে এই যুদ্ধ করতে হচ্ছে বলেও ভাষ্য তার।এর আগেও গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেইনের অঞ্চল রাশিয়া ফেডারেশনের সঙ্গে জুড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৪ সালে ইউক্রেইনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় রাশিয়া। সেখানে তখন গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল।রাশিয়ার সেই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এবারও পূর্ব ইউক্রেইনে গণভোটকে একইাবে অবৈধ বলে নিন্দা করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।