স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২২ সেপ্টেম্বর: ডোমিনিকান রিপাবলিক ও পুয়ের্তো রিকোতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ৪ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি নিয়ে বারমুডার পথে এগিয়ে যাচ্ছে হারিকেন ফিওনা।ফিওনার তাণ্ডবে পুয়ের্তো রিকোর অধিকাংশ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন এবং এখানে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।রোববার পুয়ের্তো রিকোতে আছড়ে পড়ার পর থেকেই ফিওনা দ্বীপটিতে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের কারণ হয়। পরবর্তী দুই দিনে ঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করে বাঁক নিয়ে ডোমিনিকান রিপাবলিক ও টার্কস এন্ড কেইকোস দ্বীপপুঞ্জে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে তাণ্ডব চালায়।বুধবার এটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল এবং আরও শক্তি সঞ্চয় করে উত্তরে বারমুডার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি ব্রিটিশ শাসিত বারমুডায় সরাসরি আঘাত নাও হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) ।
ফিওনা শুক্রবার কানাডার অটলান্টিক উপকূলে পৌঁছতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।এনএইচসি মায়ামির ভারপ্রাপ্ত শাখা প্রধান এরিক ব্লেক জানিয়েছেন, ফিওনা যদি এর বর্তমান পথে থাকে এবং বারমুডার পশ্চিম দিক দিয়ে যায় তবুও দ্বীপটি জলোচ্ছ্বাস, প্রবল ঢেউ, ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ের কবলে পড়তে পারে।বৃহস্পতিবার রাতে দিকে হারিকেনটির সরাসরি প্রভাব বারমুডায় পড়তে পারে বলে এনএইচসি জানিয়েছে।“ঝড়ের মূল অংশটি পশ্চিমে থাকবে বলে আশা করছি, তারপরও এটি এখনও পূর্ব দিকে সরে বারমুডায় আঘাত হানতে পারে,” বলেছেন ব্লেক। পুয়ের্তো রিকোর ৩৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৪০ শতাংশের পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তিন চতুর্থাংশ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করার চেষ্টা করছে এবং পুননির্মাণ শুরু করেছে।এখানে ফিওনার তাণ্ডবে চার মাস বয়সী একটি শিশুসহ অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।বারমুডার আবহাওয়া বিভাগ দ্বীপজুড়ে একটি ক্রান্তীয় ঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে। ঝড়টি মোকাবেলায় দ্বীপটির বাসিন্দারা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।