স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ অক্টোবর : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং পকতিকা প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছিল পাক সেনা। তারই ‘বদলা’ হিসাবে এবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আক্রমণ করল বিদ্রোহী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। ফিদায়েঁ হামলায় এখনও অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
শুক্রবার রাতে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ডেরা ইসমাইল খান জেলার রাত্তা কুলাচি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলা চালায় টিটিপি। হামলাকারীদের খতম করতে পালটা গুলি চালাতে শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলার অবশেষে ছয় জঙ্গি এবং সাত জন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের তালিবান বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের সময়ই কাবুল এবং পকতিকা প্রদেশে হামলা চালায় পাক সেনা। তবে ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, টিটিপি নেতা নূর ওয়ালি মাসুদকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আফগানিস্তানে পাক সেনার আক্রমণের পরেই পাকিস্তানে পালটা হামলা চালাল টিটিপি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের মাথাব্যাথার অন্যতম বড় কারণ এই আফগানিস্তানের মদতপুষ্ট টিটিপি জঙ্গি। খাইবার পাখতুনখোয়া, বালুচিস্তান-সহ পাক-আফগান সীমান্ত এই জঙ্গিদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সেখান থেকে প্রায়শই পাক সেনাবাহিনীর উপর চলে মারণ হামলা। এদিকে, এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে দিয়ে গিয়েছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিইসি। সেখানেও চিনা আধিকারিকদের উপর বহুবার হামলা চালিয়েছে এই জঙ্গিরা। ওই অঞ্চলে লাগাতার জঙ্গি হামলায় ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতিও।

