স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ সেপ্টেম্বর ।। ‘জেন জি’ বিপ্লবে নেপাল পতন হয়েছে ওলি সরকারের। উন্মত্ত জনতার রোষাণল থেকে বাদ যায়নি সংসদ ভবন থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, দপ্তর, একাধিক মন্ত্রীর বাড়ি। সোম ও মঙ্গলের পর বুধবারও প্রতিবেশী দেশজুড়ে চলেছে চরম অরাজকতা। হিংসার তাণ্ডব থেকে বাঁচেনি কাঠমান্ডুর পশুপতিনাথ মন্দিরও। সেখানেও একদল লোক ঢুকে পড়ে। চলে ভাঙচুর, লুঠপাটের চেষ্টা। যদিও সেনাবাহিনী সতর্ক থাকায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আপাতত পশুপতিনাথ মন্দির ঘিরে রেখেছে সেনা। এদিকে বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুর ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে বিহারের রাক্সৌল সীমান্ত হয়ে দেশে ফিরেছে ৩৮ জন ভারতীয়।
জানা গিয়েছে, এই ৩৮ জনের মধ্যে ২২ জন অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা, ১৬ জন কর্নাটকের। বীরগঞ্জ-রক্সৌল সীমান্ত তারা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন। তাঁদের দেশে ফিরতে সাহায্য করেন বীরগঞ্জের রাষ্ট্রদূত। সীমান্ত ডিঙানোর পর দেশে ফেরা ৩৮ জনের দায়িত্ব নিয়েছে বিহার প্রশাসন। তারাই যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটকের পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন। অশান্ত নেপাল থেকে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে পারায় ভারতীয় দূতাবাস এবং দুই দেশের পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৩৮ ব্যক্তি। উল্লেখ্য, নেপালে আটকে পড়া অনেকেই ভারত সরকারের ব্যবস্থাপনায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত হয়ে দেশে ফিরছেন।

