স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ৮ সেপ্টেম্বর।। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রতি কথিত ‘শেষ সতর্কতা’ জারি করার পর গাজা নিয়ে একটি চুক্তির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক থেকে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, হামাসের হাতে বন্দি সব জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করতে শিগগিরই একটি গাজা চুক্তি হতে পারে। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজে তিনি বিষয়টি আলোচনা করছিলেন বলেও জানিয়েছেন।
বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা একটি সমাধান নিয়ে কাজ করছি যা খুব ভালো হতে পারে। আপনারা খুব শিগগিরই এর বিষয়ে জানতে পাবেন। আমরা এটি শেষ করার চেষ্টা করছি, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে।”
রয়টার্স লিখেছে, এদিন সকালে তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য না দিয়ে হামাসকে তার চুক্তির শর্ত মেনে নেওয়ার জন্য হুঁশিয়ার করেন। নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেন, “ইসরায়েলিরা আমার শর্ত মেনে নিয়েছে। এখন হামাসের সময় সেগুলো মেনে নেওয়া। মেনে না নেওয়ার পরিণতির বিষয়ে আমি হামাসকে সতর্ক করছি। এটি আমার শেষ সতর্কবার্তা, এরপর আর দেওয়া হবে না!”
পরে হামাস জানায়, তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেওয়া কিছু ধারণা পেয়েছে আর সেগুলো বিকাশের উপায় নিয়ে আলোচনা করছে। তবে তারাও সম্ভাব্য কোনো সমঝোতার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চুক্তির জন্য আলোচনা করতে এবং সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে তারা প্রস্তুত আছে। তবে এর বিনিময়ে ‘যুদ্ধ শেষ করার একটি সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে’ এবং গাজা থেকে সব ইসরায়েলি বাহিনীকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি মনে করেন সব জিম্মি ফিরে আসবে। তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, আমরা তাদের সবাইকেই পেতে যাচ্ছি।” জিম্মিদের মধ্যে কয়েকজন সম্ভবত ইতোমধ্যেই মারা গেছেন, এটি উল্লেখ করে তিনি জানান, সেক্ষেত্রে লক্ষ্য হবে তাদের মৃতদেহগুলো ফিরিয়ে আনা। শনিবার ইসরায়েলের এন১২ নিউজ জানায়, ট্রাম্প হামাসের কাছে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
এন১২ নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনই ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি কয়েক হাজার ফিলিস্তিনির বিনিময়ে হামাস অবশিষ্ট ৪৮ জিম্মির সবাইকে মুক্তি দেবে এবং যুদ্ধবিরতি চলাকালে গাজা যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা করবে। ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইসরায়েল ট্রাম্পের প্রস্তাব ‘গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে’; কিন্তু এর বেশি আর বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

