স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৭ মার্চ : মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন সিধু মুসেওয়ালা। ২০২২ সালের ২৯ মে দুষ্কৃতীদের একের পর এক গুলিতে প্রাণ হারান পাঞ্জাবি গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা। ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন চরণ কৌর। কিন্তু এবার মুসেওয়ালা দম্পতির কোল আলো করে জন্ম নিল ফের পুত্রসন্তানই। ৫৮ বছর বয়সে মা হলেন সিধু মুসেওয়ালার মা। বংশধর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা পরিবার।
সিধুর পর এই ছোট্ট প্রাণই এখন বলকুর সিং এবং চরণ সিংয়ের বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ। মুসেওয়ালা দম্পতির ঘরে পুত্রসন্তানের আগমনে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা বলছেন, ‘সিধুই এল!’ প্রয়াত গায়কের বাবা জানালেন, “আপনাদের সকলে যাঁরা শুভদীপকে (সিধু) ভালোবাসেন, তাঁদের আশীর্বাদেই ঈশ্বর আমাদের কাছে শুভর ছোট ভাইকে পাঠিয়েছেন। ওয়াহেগুরুর আশীর্বাদে মা-সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছে। শুভেচ্ছার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।”
জানা গিয়েছে, আইভিএফের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন চরণ কৌর। এর জন্য বহুদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা। অনেক চেষ্টার পর সাফল্য মেলে। ৫৮ বছর বয়সে ফের গর্ভধারণ করেন চরণ। এবার সন্তানের মুখ দেখল মুসেওয়ালা পরিবার। সিধুর বাবা বলকুরের কথায়, “যে বা যাঁরা আমাদের পরিবারের জন্য উদ্বিগ্ন ছিলেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ।”
পাঞ্জাবের মানসা জেলার মুসা গ্রামে জন্ম সিধুর। জন্মসূত্রে তাঁর নাম শুভদীপ সিং সিধু। ছোটবেলা থেকেই র্যাপ আর হিপহপ গানের প্রতি টান অনুভব করতেন। পড়াশোনার জন্যই গিয়েছিলেন কানাডা। তার পাশাপাশি গানও চলত। ২০১৭ সালে প্রথম গান ‘জি ওয়াগন’ রিলিজ করেন। ধীরে ধীরে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে যান। নিজের গ্রাম মুসাকে শ্রদ্ধা জানাতেই সিধু পালটে ফেলেছিলেন নাম। হয়েছিলেন সিধু মুসেওয়ালা। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেই ২৮ বছরের যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর আগেই মর্মান্তিক পরিণতি।