স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৭ জুন : টি টি এ এ ডি সি-র নির্বাচনের আগে ধীরে ধীরে অশান্ত হয়ে উঠছে পাহাড়। নেতৃত্ব আবেগ প্রবন হয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য রেখে উস্কে দিচ্ছে দলীয় কর্মীদের। এরই প্রভাব পড়ল গন্ডাছড়ায়। গন্ডাছড়া মহকুমার পাখিত্রিপুরা পাড়ায় রেগা প্রকল্পের কাজকে কেন্দ্র করে ইন্ডেজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা এবং তিপরা মথা দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সংঘর্ষের সময় বাড়িঘর ও গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রেগার কাজ নিয়ে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ চলছিল।
যা শুক্রবার রাতে চরম আকার ধারণ করে। পাখিত্রিপুরা পাড়ায় উভয় দলের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে প্রথমে বচসা শুরু হয়ে হাতাহাতির রূপ নেয়। পরে দুই দলের পক্ষ থেকে দুষ্কৃতিকারীরা ইটপাটকেল ছুঁড়ে এবং লাঠি সাথে নিয়ে আক্রমণ শুরু করে। এবং বেশ কিছু বাড়িঘর ও গাড়ি ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে গন্ডাছড়া মহকুমার এসডিপিও এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও এলাকায় উত্তেজনা চরমে রয়েছে। তবে এখানেই থেমে থাকেনি গুন্ডাগিরি। সংঘর্ষের ঘটনার পর তিপ্রা মথার কিছু সমর্থক বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে জড়ো হয়।
এই সময় সুব্রত দাস নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক ঘটনার ভিডিও করতে গেলে তাকে মারধর করে বলে দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। আরো অভিযোগ পুলিশের সামনেই সাংবাদিকের উপর আক্রমণ হয়েছে। অথচ পুলিশ ছিল নিরব দর্শক, মনে হয়েছিল পুলিশের হাত-পায়ে বাধা। পরে স্থানীয়রা আক্রান্ত সাংবাদিক সুব্রত দাসকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য নিয়ে যায়। তার আঘাত গুরুতর বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সাংবাদিক মহল। সংঘর্ষের মূল কারণ খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার পরিস্থিতি এখনও থমথমে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় নাক কান কাটা গেছে নেতৃত্বের। কারণ সরকার শরিকের থেকে দুই দল যে ঘটনা সংগঠিত করেছে তা দেখেছে রাজ্যবাসী। এবং নিন্দার ঝড় বলছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে।