Monday, July 7, 2025
বাড়িরাজ্যগত দুই বছর ধরে দিদিমণি শূন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র

গত দুই বছর ধরে দিদিমণি শূন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩ জুন :সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের বদান্যতায় দীর্ঘ দুই বছর ধরে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে নিয়োগ হচ্ছে না দিদিমণি। জনপ্রতিনিধিরা উদাসীনভাবে বিষয়টি এড়িয়ে চলেছেন। সংবাদ শিরোনামে এই খবরটি উঠে এসেছে চড়িলাম ব্লকের চেছুড়িমাই গ্রাম পঞ্চায়েতের থালা ভাঙ্গা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে থাকে। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি শ্রাবণী চক্রবর্তী দুই বছর আগে চাকরি থেকে অবসরে চলে গেছেন। বিগত দুই বছর ধরে দিদিমণি নিয়োগ হচ্ছে না এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে। যার ফলে একা হাতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সমস্ত কাজ সামলাচ্ছেন সহায়িকা পায়েল দাস। তিনি একদিকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে খিচুড়ি রান্না করছেন।

আবার ছোট ছোট শিশুদের বাড়ি থেকে সেন্টারে নিয়ে আসছেন। শিশুদের সেন্টারে পড়াচ্ছেন। আবার অনেক ছোট ছোট শিশুকে সেন্টার শেষে কোলে করে বাড়িতে দিয়ে আসছেন। আবার অঙ্গন ওয়াড়ি  সেন্টারে খিচুড়ি রান্না করার জন্য দূরবর্তী প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে পানীয় জল ও আনছেন। কারণ প্রায় সময় অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে পানীয় জল থাকে না। একা হাতে সমস্ত কাজ সামলাচ্ছেন সহায়িকা পায়েল দাস। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে  রয়েছে প্রায় ৩৫ জন শিশু। একা সমস্ত কাজ আর সামলাতে পারছেন না। পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের অবগত করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

 তারপর এলাকার অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের অবগত রয়েছেন। কিন্তু এরপরেও সেন্টারে দিদিমনি নিয়োগ হচ্ছে না বলে জানান সহায়িকা পায়েল দাস। এই এলাকার প্রতিবেশীরাও জানিয়েছে বিগত দুই বছর ধরে সেন্টারে দিদিমনি নেই। যার ফলে সমস্ত কাজ একা করতে হচ্ছে সহায়িকা পায়েল দাসকে। সরকারি দায়িত্ব এবং কর্তব্য কিভাবে নিষ্ঠার সহিত পালন করতে হয় তার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন  থালা ভাঙ্গা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের সহায়িকা পায়েল দাস। সেন্টারের শিশুদের নিজের সন্তানের মত খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে পড়াশোনা যাবতীয় কাজ করছেন তিনি। বর্তমান সমাজে প্রায় সময় দেখা যায় সরকারি কাজে ফাঁকি দেয় অনেক সরকারি কর্মচারী। কিন্তু পায়েল দাস এই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তিনি নিষ্ঠার সহিত একা হাতে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের সমস্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বহুদিন ধরে। অতিদ্রুত এই সেন্টারে একজন দিদিমণি নিয়োগের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসীর সহ সহায়িকা পায়েল দাস। তবে এদিন স্পষ্ট হয়েছে সমাজকল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের এবং জনপ্রতিনিধিদের কতটা গাফিলতি রয়েছে। এক প্রকার ভাবে এলাকার কচি কাচাদের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা নেই বলাই চলে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!