স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩০মে : ১১ বছরের নাবালিকা অপহরণ এবং ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তকে শুক্রবার বিলোনিয়া জেলা ও দায়রা আদালতের স্পেশাল বিচারক গোবিন্দ দাস কুড়ি বছরের সশ্রম কারদন্ডে দণ্ডিত করে। তৎসঙ্গে আরো ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে বিচারক। অভিযুক্ত ঋষ্যমুখের রামনগর এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মুহুরী। বয়স ২২ বছর। জানা যায়, ২০২৪ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর ১১ বছরের এক নাবালিকা রামনগর স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় একই এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ পেশায় গাড়ি চালক নাবালিকাটিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে গাড়িতে তুলে নেয়। তারপর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে একটি নির্জন রাবার বাগানে নিয়ে গিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এরপর পুলিশ এবং এলাকাবাসী যখন নাবালিকাকে খোঁজ করছিল তখন রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ মেয়েটিকে বাড়ির সামনে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর নাবালিকার মা বিলোনিয়া মহিলা থানায় অভিযুক্তের নাম দিয়ে লিখিতভাবে অভিযুক্তের শাস্তি চেয়ে মামলা করেন। তারপর পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। আদালতে নাবালিকার জবানবন্দী রেকর্ড নেয়। এই মামলা পুলিশ ১৮ জনকে সাক্ষী হিসেবে তুলে ধরলেও আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করে শুক্রবার এই মামলার রায় দেন। বিলোনিয়া জেলা ও দায়রা আদালতের স্পেশাল জাজ সাক্ষীদের কথা শুনে অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ মুহুরীকে দোষী সাব্যস্ত করে পক্সো আইনে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এই রায়ে আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রসেনজিতের পরিবার। এ মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন বিলোনিয়া মহিলা থানার ওসি ইন্সপেক্টর স্বপ্না ভৌমিক। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এই মামলার স্পেশাল পিপি আইনজীবী প্রভাত চন্দ্র দত্ত।

