স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ নভেম্বর : নামে স্মার্ট সিটি! কারণ শহরে পরিষেবা দিয়ে চলেছে আনস্মার্ট প্রশাসন। কোটি কোটি টাকা শহরে ব্যয় হলেও প্রশাসনিক কর্মীদের জন্য মানুষের সম্পত্তির কোন নিশ্চয়তা নেই। আগরতলা শহরের দায়িত্ব পালন করে চলেছে কয়েক শতাধিক ট্রাফিক কর্মী। গত কয়েকদিন লক্ষ্য করা গেছে আগরতলা শহরে ট্রাফিক এসপি মানিক দাসের নেতৃত্বে অভিযান চালাতে। কিন্তু শহরের যান চলাচল এবং পার্কিংয়ে ক্ষেত্রে কোন সঠিক নিয়ম নীতি আনতে পারেনি। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে শহরের অসচেতন নাগরিক।
আগরতলা শহরের কর্নেল চৌমুহনী থেকে বিদুরকর্তা চৌমুহনি পর্যন্ত রাস্তা দুপাশে গাড়ি বাইক দাঁড় করানো থাকে। এতে দুর্ঘটনা এবং ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি এবার ঘটে গেল বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। কর্নেল চৌমুহনী সংলগ্ন রাস্তার পাশে পার্কিং করা টি আর ০১ টি ১৫৮৮ নম্বরে গাড়ি মেরামত করার সময় আচমকা পণ্যবাহী অটো গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাথে সাথে খবর দেওয়া হয় দমকল কর্মীদের। দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর দশ মিনিটের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে রাস্তার পাশে থাকা দুটি দোকানের মধ্যে। এবং দোকানের পেছনে থাকা বাড়িতে মানুষজন আটকে পড়ে।
পরে দমকল কর্মীরা ঘটনার স্থলে পৌঁছে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রিপন চক্রবর্তীর বক্তব্য, যদি গাড়িটি তার দোকানের সামনে পার্কিং করা না হতো তাহলে আজকে এত বড় ক্ষতি হতো না। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে বহু গাড়ি এলাকার দোকান পাটের সামনে এবং মানুষের বাড়িঘরের সামনে পার্কিং করে রাখা হয়। বহুবার বিষয়টি ট্রাফিক কর্মীদের নজরে আসলো তারা কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ট্রাফিক কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তায় এলাকার মানুষের সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।