স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৬ অক্টোবর: ভোটের মরশুমে ঢালাও উপহার ঘোষণা বা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বিষয়টি যাতে নিয়ন্ত্রিত হয় তার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেক্ষেত্রে এই ধরনের ‘উপহার’-কে ঘুষ হিসাবেই গণ্য করা হবে বলে জানায় শীর্ষ আদালত। একগুচ্ছ তামাদি মামলার শুনানির প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, নির্বাচনী প্যানেলের কী কর্তব্য তার রূপরেখা নির্ধারণ করে দিতে হবে।
বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা শশাঙ্ক এস শ্রীধরের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ এদিন জানায়, কোনও রাজনৈতিক দলই যাতে নির্বাচন এবং প্রাক নির্বাচন পর্বে নানাবিধ উপহার বা বিনামূল্যে বস্তু বা পরিষেবা দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আদালতে দায়ের করা আর্জিতে মামলাকারী শ্রীধর জানিয়েছিলেন, ‘‘ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলো যে ঢালাও উপহার ঘোষণা করে তার চাপ পরোক্ষে সাধারণ মানুষের পকেটের উপরেই পড়ে। কারণ মানুষের করের টাকায় সেই সমস্ত উপহার বণ্টন করা হয়। এবং রাজনৈতিক দলগুলো তার ফায়দা লাভ করে। এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসার উপায় বের করতে হবে।’’
এই আর্জির প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর এই বিনামূল্যের দ্রব্য বণ্টনের প্রবণতা আদতে ভোটের আগে ঘুষ দেওয়া ছাড়া কিছুই নয়। উল্লেখ্য, শ্রীধরের মামলাটি ছাড়াও আগে বিভিন্ন সময়ে এই প্রবণতা নিয়ে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছিল। তারই মধ্যে এক মামলাকারী অবিলম্বে এর শুনানির আর্জি জানান। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উচিত এই প্রবণতা আটকাতে কী পদক্ষেপ করা যায় তা নির্ধারণ করা। এমনকী, কেন্দ্রেরও বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।