স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ অক্টোবর : মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে মাতাল বাহিনীর জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের দাবি করলেন সদর জেলা কংগ্রেস। শনিবার দুপুরে সদর জেলা কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা ঘেরাও করল সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কার্যালয়। দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। তাদের প্রশ্ন কেন পুলিশ বিষয়টি হালকাভাবে দেখে মীমাংসার পথ নিয়েছে। এরই প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে এদিন। যুব কংগ্রেস নেতা শাহজাহান ইসলামের অভিযোগ, ত্রিপুরা রাজ্যে নাকি আইনের শাসন পাচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী বারবার দাবি করেন।
এবং রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নাকি পুলিশ প্রশাসনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার দিয়েছেন। এবং কংগ্রেসের দিকে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন রাজ্য নাকি আইনের শাসন আছে। বিরোধী দল কংগ্রেস আইন-শৃঙ্খলার অবনতি কথা বলে সরকারকে কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করছে। সুতরাং কংগ্রেস নাকি মিথ্যা কথা বলছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী দাবি করার কয়েক দিনের মধ্যেই গত দুই অক্টোবর দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা কেন্দ্রের ৪০ নং ওয়ার্ডের নামধারী গুন্ডারা মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নেতাজি চৌমুহনী এলাকাতে দুজন ট্রাফিক কর্মীকে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছেন। তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পুলিশকে সরাসরি তারা বলছে যদি গায়ে ট্রাফিক পুলিশের পোশাক না থাকতো তাহলে গায়ের চামড়া তুলে নিতে তারা। সরাসরি বলেছে তারা নাকি বাইক বাহিনীর সদস্য। এটাই প্রকাশ্যে এসেছে রাষ্ট্রবাদী দলের নেতাদের চরিত্র বলে জানান শাহজাহান ইসলাম।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের সাথে এত বড় ঘটনা ঘটার পরও কেন পুলিশ মামলা নিতে পারল না, কোথায় পুলিশের ব্যর্থতা? আসলে পুলিশ কি স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে কিনা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তারা প্রশ্ন তুললেন। সুতরাং কংগ্রেস দাবি করে যে রাজ্যে আইনের শাসন নেই। এর উদাহরণ রাজ্যে পুলিশকে মাথা নত করতে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রের রাষ্ট্রবাদী বাইক বাহিনীর নেতাদের কাছে। তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। এমনটাই দাবি করলেন তিনি। পাশাপাশি আরো বলেন যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র দপ্তর চালাতে পারছে না, তাই মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার প্রয়োজন। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর কারণেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পুলিশ অপমানিত এবং লাঞ্ছিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।