Wednesday, January 15, 2025
বাড়িরাজ্যরানীরবাজারে ঘটনা তথাকথিত কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের মস্তিষ্ক প্রসূত বলে দাবি করলেন সুদীপ...

রানীরবাজারে ঘটনা তথাকথিত কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের মস্তিষ্ক প্রসূত বলে দাবি করলেন সুদীপ রায় বর্মন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ আগস্ট : রানীরবাজারে কালী মূর্তি ভাঙ্গা ঘিরে এক অংশের মানুষ কুড়িটি বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে, আটটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়, একটি দোকান জ্বালিয়ে দেয়। এই ঘটনা কৃষ্ণ জন্মের আগের দিন তথাকথিত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিশ্বাসী এবং অন্য জাতের মানুষকে যারা ঘৃণা করে সেইসব গুন্ডাবাহিনী করেছে। কিন্তু এ ধরনের ঘৃণা-বিদ্বেষ মূলক ঘটনা সনাতন ধর্মে উল্লেখ নেই। রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য এই ঘটনা পরিকল্পিতভাবে সংগঠিত করেছে তথাকথিত কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কিছু দুষ্কৃতিকারীরা।

 সোমবার সন্ধ্যায় প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা বলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, এত বড় ঘটনা রাজধানীর সন্নিকটে সংঘটিত হলেও মুখ্যমন্ত্রী এখন পর্যন্ত কোন শব্দ করেন নি। এক দ্বারা স্পষ্ট মুখ্যমন্ত্রী তথাকথিত কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে সমর্থন করেছেন। তাই রাজ্যের শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার কোন আহ্বান নেই তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ছিল সাথে সাথে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার যাতে যারা এই ঘটনা সংঘটিত করছে তাদের গ্রেপ্তার করার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কোন ব্যবস্থা নেয় নি। এটা আইনের শাসন নয়, জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। গণতান্ত্রিক অধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার সবকিছু মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করলেন শ্রী বর্মন। তিনি আরো বলেন গোটা ঘটনা জেলা পুলিশ সুপারের সামনে সংঘটিত হলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল এদিন রাতের বেলা। মানুষ কোথায় বিচার চাইবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন এই ঘটনা যাতে রাজ্যে পূর্ণরূপ না নেয় তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার।

তিনি আরো বলেন, দুষ্কৃতিকারীদের কোন জাত পাত রং হয় না। রাজ্যের ঐতিহ্য হলো বিভিন্ন সময় দেখা যায় ঐতিহ্যবাহী কালী পূজার সময় পূজা কমিটিতে থাকেন মুসলমান অংশের মানুষ। তারা সভাপতি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এটাই রাজ্যের কৃষ্টি, সংস্কৃতি। আর এ ধরনের ভ্রাতৃত্ব মূলক পরিস্থিতিকে নষ্ট করে রাজ্যে যাতে এক অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় তার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা সংগঠিত করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। তারা চেয়েছে রাজ্যে সৌভ্রাতৃত্ব নষ্ট করে দুই অংশের মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে। এ ধরনের প্রচেষ্টা তারা গন্ডাছড়াতেও তৈরি করেছিল। সুতরাং এ ধরনের ঘটনা যারা কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বলে দাবি করে, তাদের মস্তিষ্ক প্রসূত এই ঘটনা বলে জানান তিনি। তিনি বলেন রানীবাজারের এই ঘটনা সকলকে পীড়া দিয়েছে। রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। এর নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। অর্থাৎ প্রদেশ কংগ্রেস এবং জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জানানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য